বিনয় শর্মা
তিহাড় জেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করল নির্ভয়া ধর্ষণ ও খুন মামলার অন্যতম আসামি বিনয় শর্মা। রক্ষীদের চোখে পড়ে যাওয়ায় আপাতত প্রাণ বেঁচেছে বিনয়ের। এর আগে তিহাড়েই আত্মহত্যা করেছিল এই মামলার অন্য এক আসামি রাম সিংহ।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে দিল্লিতে মেডিক্যাল ছাত্রী নির্ভয়াকে ধর্ষণ করে ছ’জন। ১৩ দিন পরে হাসপাতালে মারা যান নির্ভয়া। এই মামলায় রাম সিংহ, বিনয় শর্মা, মুকেশ সিংহ, অক্ষয় ঠাকুর ও পবন গুপ্তকে মৃত্যুদণ্ড দেয় নিম্ন আদালত। রামের মৃত্যুর পরে এখন সুপ্রিম কোর্টে বাকি চার জনের আবেদনের শুনানি চলছে। ষষ্ঠ অভিযুক্ত ঘটনার সময়ে নাবালক ছিল। সংশোধনাগারে তিন বছর কাটানোর পরে মুক্তি পেয়েছে সে।
গত কাল রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ গলায় একটি কাপড় পেঁচিয়ে সেলের গরাদ থেকে ঝুলে পড়ে বিনয়। ঘটনাটি চোখে পড়ে যায় সেলের পাহারায় থাকা তামিলনাড়ু বিশেষ পুলিশের এক কর্মীর। দ্রুত বিনয়কে উদ্ধার করে দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আপাতত তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন জেল কর্তৃপক্ষ। জেল সূত্রে খবর, গলায় কাপড় পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করার আগে মাত্রাতিরিক্ত মানসিক অবসাদের ওষুধ খেয়ে নিয়েছিল বিনয়। কিছু দিন ধরেই মানসিক রোগে ভুগছিল সে। সম্প্রতি ওই কয়েদি দাবি করেছিল, অন্য বন্দিরা তাকে খুন করতে চেয়েছে। সেলের নিরাপত্তা বাড়ানোর আর্জিও জানিয়েছিল বিনয়।
২০১৩ সালের মার্চ মাসে তিহাড়ের সেল থেকেই উদ্ধার হয় এই মামলার আর এক আসামি রাম সিংহের ঝুলন্ত দেহ। জেল সূত্রে খবর, রামকেও অন্য বন্দিরা খুন করার হুমকি দিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল সে সময়।
জঙ্গি ও বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামিদের ঠিকানা তিহাড়। এই ঘটনা সেখানকার নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলে দিল বলে মনে করা হচ্ছে।