বেঙ্গালুরুর ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলা থেকে ধৃত দুই অভিযুক্ত। —ফাইল চিত্র ।
বেঙ্গালুরুতে বিস্ফোরণের পরে পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গিতে তাড়া করতে করতে পোর্ট ব্লেয়ার পর্যন্ত গিয়েছিল এনআইএ তদন্তকারীরা। পরে ২৮ মার্চ সেই দুই জঙ্গি আবদুল মাথিন আহমেদ ত্বহা এবং মুসাভির হুসেন শাজিবকে ধরা হয় পশ্চিমবঙ্গের নিউ দিঘার হোটেল থেকে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি সূত্র জানিয়েছে, ১ মার্চ বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম কাফেতে বিস্ফোরণের পরে ত্বহা ও শাজিবের খোঁজে দেশের সমস্ত এজেন্সিকে সতর্ক করা হয়েছিল। বিভিন্ন এজেন্সির কাছ থেকে এর পরে ‘ইনপুট’ আসতে শুরু করে। সে রকমই একটি ইনপুট জানিয়েছিল পোর্ট ব্লেয়ারের কথা। তত দিনে দু’জন ঢুকে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। গোয়েন্দাদের সন্দেহ হয়, কলকাতা থেকে উড়ানে দু’জন পোর্ট ব্লেয়ারে পালাতে পারে।
সূত্রের দাবি, প্রাথমিক ভাবে কলকাতা থেকে পোর্ট ব্লেয়ারের উড়ানের যাত্রী তালিকায় তাদের নাম পাওয়া যায় না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ওই সূত্র জানিয়েছে, নিজেদের আসল নাম ব্যবহার না করে চারটি অন্য নাম ব্যবহার করছিল ত্বহা ও শাজিব। তার মধ্যে একটি নাম ছিল আনমোল কুলকার্নি। তাদের আসল নামের পাশাপাশি ওই চারটে নাম দিয়েও চলে তল্লাশি। কিন্তু, পোর্ট ব্লেয়ারের যাত্রী তালিকায় কোনও নামই খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারপরেও ঝুঁকি না নিয়ে গোয়েন্দারা সশরীরের পোর্ট ব্লেয়ারে পৌঁছন। শুধু পোর্ট ব্লেয়ার নয়, আঁতিপাতি করে আন্দামানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে খুঁজে তাদের পাওয়া যায় না।
পোর্ট ব্লেয়ারে না পেয়ে কলকাতা থেকে ওই দু’জন বিদেশে পালাতে পারে বলেও সন্দেহ দানা বাঁধে গোয়েন্দাদের মনে। সতর্ক করা হয় কলকাতা বিমানবন্দরের অভিবাসন দফতরকে। কারণ, একটি বিষয়ে গোয়েন্দারা ততক্ষণে নিশ্চিত হয়ে যান যে ত্বহা ও শাজিব পশ্চিমবঙ্গের ভিতরেই কোথাও রয়েছে। তাই, দু’জনের খোঁজে এ রাজ্যেই মনোনিবেশ করে কেন্দ্রীয় সমস্ত এজেন্সি। মূলত কলকাতা থেকে বিভিন্ন উড়ান সংস্থার যাত্রী তালিকাও খুঁজে দেখা হয়।
খবর আসে জঙ্গলমহলের কোথাও একটি নির্জন ‘হোম-স্টে’-তে লুকিয়ে রয়েছে তারা। পুরুলিয়ার সেই হোম-স্টে-তে তারা তাঁবু খাটিয়ে রয়েছে বলেও খবর আসে। কিন্তু, গরু-খোঁজা খুঁজে সেখানেও তাদের পাওয়া যায়নি। শেষে জানা যায়, দিঘার কথা।