সর্ব ক্ষণ ফোন এবং সমাজমাধ্যমে ব্যস্ত থাকায় মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আপত্তি জানিয়েছিলেন। প্রতীকী ছবি।
ইনস্টাগ্রাম করা যাবে না। নববধূকে জানিয়ে দিয়েছিলেন স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। কিন্তু মহিলা নাছোড়। ইনস্টাগ্রাম ছাড়া যাবে না। স্পষ্ট জানিয়ে দেন স্বামীকে। বিষয়টি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যেই অশান্তি শুরু হয়। এর পরই স্বামীকে ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে যান নববধূ।
ঘটনাটি বিহারের হাজিপুরের লালগঞ্জ থানা এলাকার। স্থানীয় সূত্রে খবর, দিন পনেরো আগে হাজিপুরের সবা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল লালগঞ্জের ইলিয়াসের। ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। ইলিয়াসের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে এসে সব সময় ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন তাঁর স্ত্রী। ইনস্টাগ্রাম এবং নানা সমাজমাধ্যমে সব সময় ব্যস্ত থাকতেন সবা।
সর্ব ক্ষণ ফোন এবং সমাজমাধ্যমে ব্যস্ত থাকায় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আপত্তি জানান। এর পর সবাকে ফোন থেকে দূরে থাকার জন্য বলেন ইলিয়াস। কিন্তু তার পরেও সবা ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। এর পর শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যরাও সবাকে নানা রকম টিপ্পনী করা শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, এর পরই সবা তাঁর বাপের বাড়িতে ফোন করে বিষয়টি জানান। সবার মুখে সব শোনার পর তাঁর ভাই মহম্মদ সোহেল বন্দুক নিয়ে সবার শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হন। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। এর পরই ইলিয়াস এবং তাঁর পরিবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরই গ্রেফতার করা হয় সবার ভাইকে। এই ঘটনার পর শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে ওঠেন সবা।