পে-লোডারের সামনে বসে নবদম্পতি। ছবি: সংগৃহীত।
ঘোড়ার পিঠে চড়ে বিয়ে করতে যাচ্ছেন বর। মোটরবাইক হাঁকিয়ে বিয়ের মণ্ডপে ঢুকছেন বধূ। এমন ছবি তো অনেকেই দেখেছেন। কিন্তু, পে-লোডারে বসে বিয়ের মণ্ডপ ছাড়ছেন বর-বধূ! এমনটা দেখেছেন কি? তেমনটাই দেখা গেল কর্নাটকে। বিয়ের পর নববধূকে পে-লোডারে বসিয়ে নিজের বাড়ি নিয়ে গেলেন এক ব্যক্তি। সে ছবি প্রকাশ্যে আসতে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে শুরু করেছে।
এমন কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন দক্ষিণ কন্নড় জেলার পুত্তুর শহরের বাসিন্দা চেতন। পে-লোডার চালিয়েই তাঁর রুজি-রোজগার। সোমবার চেতনের সঙ্গে বিয়ে হয় মমতার। ফুলে সাজানো গাড়ি নয়, বিয়ের পর নবদম্পতি রওনা দেন একটি পে-লোডারের সামনে বসে। চেতনের কাণ্ড দেখে যারপরনাই আমোদিত বন্ধুবান্ধব-আত্মীয়স্বজনেরা। মোবাইল বার করে সে ছবি ক্যামেরাবন্দিও করে রাখেন তাঁরা।
বছর দশেক ধরেই পে-লোডার চালাচ্ছেন চেতন। তিনি জানিয়েছেন, বিয়ের পর মমতাকে কী ভাবে বাড়ি নিয়ে যাবেন, তা আগে থেকে স্থির ছিল না। বিয়ের দিন দুপুরের খাওয়াদাওয়ার সারার পরই মাথায় আসে আইডিয়াটা। সঙ্গে সঙ্গে বন্ধুদের বলেন, পে-লোডারটা সাজিয়ে বিয়ের মণ্ডপের বাইরে আনতে। চেতনের কথা মতো তাঁর পে-লোডারটি ফুল দিয়ে সাজিয়ে বিয়ের মণ্ডপের বাইরে এনে দাঁড় করান বন্ধুরা।
আরও পড়ুন
‘স্বামী আমার কাছে রাম’, বলছেন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী
এর পর অবাক হওয়ার পালা মমতার। এমনটা যে ঘটবে তা জানতেন না তিনি। প্রথমটাই খানিকটা থতমতই হয়ে গিয়েছিলেন মমতা। তাঁকে ইতস্তত করতে দেখে মমতার দিকে হাত বাড়িয়ে দেন চেতন। এর পর আর ‘না’ বলতে পারেননি মমতা। চেতনের হাত ধরে উঠে বসেন সেই পে-লোডারের সামনে। রওনা দেন নতুন ঠিকানার দিকে।
আরও পড়ুন
ঔরঙ্গজেবের পরিবার অনুপ্রেরণা, বললেন সীতারামন
পো-লেডারে বসতে নববধূ যে গোড়ায় রাজি ছিলেন না, তা জানিয়ে চেতন বলেন, “মমতা প্রথমে বলেছিল, সে পে-লোডারে বসবে না। খুব লাজুক তো! তখন আমি বললাম, ‘আমি তোমার সঙ্গে আছি।’ ব্যস্, রাজি হয়ে গেল!”