স্পীতী ভ্যালি ঢেকেছে বরফে। ছবি—পিটিআই।
শীতে কাঁপছে উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। শৈত্যপ্রবাহের জেরে হুড়মুড়িয়ে নামছে তাপমাত্রা। কাশ্মীর, দিল্লি, রাজস্থান, পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের একাংশে গত কয়েক দিনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটা নীচে নেমে গিয়েছে। দিল্লিতে সোমবার তাপমাত্রা নেমেছে ৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা বছরের এখনও অবধি সর্বনিম্ন। সোমবার পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিঙে তাপমাত্রা রয়েছে ৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ দার্জিলিঙের থেকেও ঠান্ডা বেশি দেশের রাজধানীতে।
উত্তর ভারতের ঠান্ডা এবং শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহওয়া দফতরের বিজ্ঞানী আর কে জেনামণি বলেছেন, ‘‘বর্তমানে শৈত্যপ্রবাহ হচ্ছে উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতে। কারণ, পশ্চিম থেকে ঠান্ডা বাতাস বইছে। যে জন্য রাজস্থানে চুরু, সীকরের মতো জায়গাগুলিতে শূন্যের নীচে নেমেছে তাপমাত্রা। অমৃতসর এবং পঞ্জাবে পারদ শূন্য ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করছে।’’ তবে ২২ ডিসেম্বরের পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা বদলাতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে বড়দিনের সময়ে হয়ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও একটু বাড়বে। যার জেরে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন রাজধানীর বাসিন্দারা।
গত কয়েক দিনে শৈত্যপ্রবাহের জেরে শ্রীনগরের রাতের তাপমাত্রা মাইনাস ৫ ডিগ্রিতে পৌঁছে যাচ্ছে। পহেলগামে তা নেমেছে মাইনাস ৭.৪ ডিগ্রিতে। লাদাখে তা ইতিমধ্যেই পৌঁছেছে মাইনাস ১৯ ডিগ্রিতে। হিমাচল প্রদেশের বিস্তীর্ণ অংশও ঢেকেছে বরফে।
উত্তর ভারতের এই কনকনে ঠান্ডাকে বয়ে নিয়ে আসছে উত্তুরে হাওয়া। উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও ঝাড়খণ্ড পেরিয়ে তা ঢুকছে বঙ্গে। যার জেরে কলকাতা-সহ জেলাগুলিতেও অব্যাহত রয়েছে পারদপতন। সোমবার কলকাতার তাপমাত্রা নেমেছে ১১ ডিগ্রিতে। জেলাগুলিতেও তা আরও কমেছে।