Manohar Lal Khattar

ওঁরা কৃষকই নন, খট্টরের মন্তব্যে শুরু নতুন বিতর্ক

উল্লেখ করা যেতে পারে, হরিয়ানায় বিজেপির ভোটের ভাগ ক্রমশ নিম্নমুখী। ২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে তারা ৪৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। ২০১৯-এ তা নেমে আসে ৩৬.৪৯ শতাংশে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:৩৫
Share:

মনোহরলাল খট্টর। —ফাইল চিত্র।

কৃষক আন্দোলনে যোগদানকারী ব্যক্তিরা আদতে কৃষকই নন বলে মন্তব্য করে নতুন বিতর্ক বাধালেন হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। খট্টর বর্তমানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, হরিয়ানা, পঞ্জাব এবং দিল্লির সীমান্তে বিক্ষোভকারীরা আদতে কৃষকই নন। হরিয়ানা ভোটের প্রাক্কালে তাঁর এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরবহয়েছে কংগ্রেস।

Advertisement

খট্টরের বক্তব্য, ‘‘পঞ্জাবের কিছু লোক, কৃষকের ছদ্মবেশে, একটি বিদ্রোহ শুরু করেছিল... এর উদ্দেশ্য ছিল কেন্দ্রীয় সরকার এবং হরিয়ানা সরকারের পতন ঘটানো। সেই ছদ্মবেশী ব্যক্তিরা এমনকি দিল্লির লাল কেল্লায় হামলা চালিয়ে ট্রাক্টর নিয়ে রাজধানীতে পৌঁছেছিল। এরা কেউ কৃষক নয়...।’’ খট্টরের এই কথার জবাবে কটাক্ষ করে পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি অমরিন্দর সিং রাজা ওয়ারিং বলেছেন, ‘‘খট্টর সাহেবকে মুখ্যমন্ত্রীর আসন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কারণ বিজেপি বুঝতে পেরেছিল যে খট্টর থাকলে তারা হরিয়ানায় একটি আসনও পাবে না।’’ এ বছর লোকসভা ভোটের আগেই হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে যান খট্টর। তাঁর জায়গায় আসেন নায়েব সিংহ সাইনি। তাঁকে সামনে রেখেই বিধানসভা নির্বাচনে লড়ছে বিজেপি। ৫ অক্টোবর হরিয়ানায় ভোট।

উল্লেখ করা যেতে পারে, হরিয়ানায় বিজেপির ভোটের ভাগ ক্রমশ নিম্নমুখী। ২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে তারা ৪৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। ২০১৯-এ তা নেমে আসে ৩৬.৪৯ শতাংশে। লোকসভায় ২০১৯ সালে তাদের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৫৮.২১ শতাংশ। ২০২৪ সালে তা ৪৬.১০ শতাংশে নেমে এসেছে৷ পাশাপাশি, গত ৩১শে অগস্টই শম্ভু সীমান্তে কৃষকরা তাঁদের চলতি বিক্ষোভের ২০০ দিন পার করেছেন। ফসলের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) আইনি গ্যারান্টি তাঁদের অন্যতম দাবি। সম্প্রতি বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউত মন্তব্য করেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত বাতিল হওয়া কৃষি আইন ফিরিয়ে আনা। ভোট মরসুমে তাঁর এই কথা নিয়েও বিতর্ক হয়েছিল। বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়, কঙ্গনার বক্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত। কঙ্গনা নিজেও সে জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement