নেপাল থেকে দিল্লি উড়িয়ে এনে এমসে ভর্তি করানো হল প্রেসিডেন্ট পদেলকে। — ফাইল ছবি।
এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে কাঠমান্ডু থেকে দিল্লির এমসে আনা হল নেপালের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পদেলকে। সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্টের বুকের সংক্রমণ আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। এক মাসের মধ্যে প্রেসিডেন্ট পদেলকে দু’বার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। কিন্তু তাতেও কাজের কাছ কিছুই হয়নি। তাই উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনেই ‘এয়ারলিফ্ট’ করে তাঁকে তুলে আনা হল দিল্লিতে।
মঙ্গলবার, নেপালের টিইউ টিচিং হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন পদেল। কিন্তু সেখানে তাঁর বুকে জটিল সংক্রমণ পাওয়া যায়। তার পরেই আর বিলম্ব না করে তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়। বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ দিল্লির মাটি ছোঁয় নেপালের প্রেসিডেন্টের বিমান অ্যাম্বুল্যান্স। তার পর সেখান থেকে সোজা এমস। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রয়েছেন তাঁর ছেলে চিন্তুন এবং আরও কয়েক জন ঘনিষ্ঠ।
পয়লা এপ্রিল প্রেসিডেন্ট পদেল প্রথম বুকে ব্যথা অনুভব করেন। তৈরি করা হয় একটি মেডিক্যাল টিম। সেই টিম খতিয়ে দেখে প্রেসিডেন্টের শারীরিক অবস্থা। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অসুস্থ প্রেসিডেন্টকে দেখতে আসেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল, উপপ্রধানমন্ত্রী পূর্ণবাহাদুর খাদকা এবং অন্যান্যরা। কিছু দিনের মধ্যেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও সমস্যা পিছু ছাড়েনি। গত মঙ্গলবার তাঁকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষায় বেরোয় বুকের সংক্রমণ জটিল আকার নিচ্ছে। তার পরেই দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতো, এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে নেপালের প্রেসিডেন্টকে দিল্লির এমসে নিয়ে আসা হয়। আপাতত সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলবে।