কংগ্রেস অধিবেশনে নেহরু ও নেতাজি। কলকাতার ওয়েলিংটন স্কোয়্যারে। ছবি: আনন্দবাজারের আর্কাইভ থেকে।
চিঠি লিখে নেতাজির পরিবারকে তাঁর মৃত্যুসংবাদ দিয়েছিলেন জওহরলাল নেহরু। ১৯৬২ সালে নেহরু নেতাজির ভাই সুরেশচন্দ্র বসুকে এই চিঠি লেখেন বলে জানা গিয়েছে শনিবার প্রকাশিত নেতাজি সংক্রান্ত ফাইল থেকে। নেহরুর এই চিঠি নিয়ে নানা ব্যাখ্যা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
১৯৬২ সালে বসু পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী নেহরুর লেখা যে চিঠি সামনে এসেছে শনিবার, তাতে নেহরু লিখেছেন যে সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুর কোনও অকাট্য প্রমাণ দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যুর বেশ কিছু পারিপার্শ্বিক প্রমাণ শাহনওয়াজ খান কমিশন পেয়েছে বলে নেহরু চিঠিতে উল্লেখ করেন। তিনি লেখেন, ‘‘পারিপার্শ্বিক প্রমাণগুলি বিবেচনা করার পাশাপাশি মাথায় রাখতে হবে, অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে এবং ভারতে ফিরলে প্রবল আনন্দ-উচ্ছ্বাসের সঙ্গে তাঁকে বরণ করে নেওয়া হবে বলে জানা সত্ত্বেও তিনি অন্য কোথাও গোপনে বেঁচে রয়েছেন, এমন হওয়ার সম্ভবনা একেবারেই নেই।’’
নেহরুর এই চিঠি নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিভিন্ন জল্পনা। এই চিঠির নানা রকম ব্যাখ্যা খুঁজতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহল। কংগ্রেস সুভাষচন্দ্র বসুর অন্তর্ধান নিয়ে এই জল্পনার তীব্র সমালোচনা করেছে। কংগ্রেস মুখপাত্র আনন্দ শর্মা এ দিন বলেন, ‘‘এটা হল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তৈরি করা একটা সংশয়। যাঁরা আদর্শগতভাবে কংগ্রেসের নেতৃত্বে হওয়া ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধী ছিলেন, এটা তাঁদের চক্রান্ত।’’ মোদী সরকার নেহরুর মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীকে কাটো করে দেখাতে চাইছে বলেও শর্মা মন্তব্য করেন।
নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর প্রতি এ দিন শ্রদ্ধা জানান কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী এবং সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী। সনিয়া বলেন, ‘‘নেতাজি চিরকাল ভারতবাসীর হৃদয়ে থাকবেন। জাতি এবং কংগ্রেস কোনও দিন তাঁর অবদান ভুলতে পারবে না।’’