NEET Paper Leak Case

৩০-৩২ লক্ষ টাকায় প্রশ্ন বিক্রি হয়েছে! নিট-‘দুর্নীতি’ নিয়ে পুলিশের কাছে দাবি করলেন ‘মূলচক্রী’ অমিত

ইতিমধ্যেই নিট-এর প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে অমিত-সহ মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন দানাপুর পুরসভার জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সিকন্দরকুমার যাদবেন্দু।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২৪ ১১:০০
Share:

নিট-এ অনিয়মের অভিযোগে বিক্ষোভ। ছবি: পিটিআই।

ডাক্তারির স্নাতক স্তরে ভর্তির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট নিয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ্যে এল। হবু ডাক্তারদের যোগ্যতা নির্ণায়ক এই পরীক্ষায় আগেই বিস্তর অনিয়ম এবং প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। এ বার এই বিষয়ে মুখ খুললেন প্রশ্নফাঁস চক্রের মূলচক্রী, বিহারের বাসিন্দা অমিত আনন্দ। ‘এবিপি নিউজ়’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে অমিত জানিয়েছেন, ৩০-৩২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পড়ুয়াদের প্রশ্নপত্র বিক্রি করা হয়েছিল!

Advertisement

নিট হয়েছিল গত ৫ মে। অমিত জানিয়েছেন, পরীক্ষার আগের দিন তাঁর হাতে প্রশ্নপত্র আসে। তাই টাকা দেওয়া পরীক্ষার্থীরা প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় পেয়েছিলেন। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, অমিত বেআইনি ভাবে একটি কোচিং তথা পরামর্শদাতা সংস্থা চালাতেন। তাঁর আসল বাড়ি বিহারের মুঙ্গের জেলায়। কিন্তু ইদানীং তিনি পটনার এজি কলোনিতে একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। অমিতের বিরুদ্ধে পটনার শাস্ত্রীনগর থানায় মামলা রুজু হয়। তার পরই প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করে বিহারের আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখা (ইএইউ)।

ইতিমধ্যেই নিট-এর প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে অমিত-সহ মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন দানাপুর পুরসভার জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সিকন্দরকুমার যাদবেন্দু। যাদবেন্দু পুলিশকে জানান, তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েক জন নিট পরীক্ষার্থী সাহায্য করার আর্জি নিয়ে যোগাযোগ করেছিলেন। তার পর দরাদরি করে প্রশ্নপত্র বিক্রির দাম স্থির হয়। সিকন্দর যোগাযোগ করেন অমিতের সঙ্গে। পরীক্ষার আগের দিন ওই পরীক্ষার্থীদের পটনার রামকৃষ্ণনগর এলাকার একটি ‘নিরাপদ’ জায়গায় রাখা হয়।

Advertisement

অমিতের ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে পুলিশ বেশ কিছু পোড়া প্রশ্নপত্র পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশকে অমিত জানিয়েছেন, আগেও বেশ কিছু পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আগাম তাঁর হাতে এসেছিল। কী ভাবে অমিত প্রভাব খাটিয়ে এত গুরুত্বপূর্ণ এক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আগেভাগেই হাতে পেয়ে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এর মধ্যেই এক ধৃত পরীক্ষার্থী দাবি করেছেন, তাঁরা পরীক্ষার আগে যে প্রশ্নপত্র হাতে পেয়েছিলেন, তার সঙ্গে আসল প্রশ্নের হুবহু মিল আছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement