NEET

শূন্য পেয়েও ডাক্তারি পড়ছেন বেশ কিছু পড়ুয়া

শূন্য পেয়েও ডাক্তারিতে সুযোগ পড়ুয়াদের!

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৮ ১৫:২৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

শূন্য পেয়েও ডাক্তারি! হ্যাঁ, এমনটাই ঘটেছে। ডাক্তারির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা (নিট)ফল প্রকাশ্যে আসতেই ডাক্তারির পড়ুয়াদের মেধা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

Advertisement

২০১৭ সালের নিট পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিদ্যা ও অঙ্কে পৃথক ভাবে কোনও যোগ্যতামান (কাট অফ মার্কস)নেই। এই পরীক্ষায় সব মিলিয়ে ৫৩০ জন পড়ুয়ার বিভিন্ন বিষয়ে নম্বর শূন্য বা এক অঙ্কে। কিন্তু বেসরকারি কলেজে ভর্তি হয়ে গিয়েছেন তাঁরা।২০১৭ সালের নিট পরীক্ষার পরই এমবিবিএসে ভর্তি হন তাঁরা। এরপরই শুরু বিতর্কের। শূন্য পেয়েই যদি ডাক্তারিতে সুযোগ মেলে, তাহলে নিট পরীক্ষায় বসার কোনও মানে নেই, বলছেন অনেকে।

একটি সর্বভারতীয় দৈনিকের সমীক্ষা বলছে, ১৯৯০ জন পড়ুয়ার মধ্যে ৭২০ জনের প্রাপ্ত নম্বর মাত্র ১৫০। ১১০ জন পড়ুয়া কয়েকটি বিষয়ে শূন্য বা তারও কম পেয়েছেন ২০১৭ সালের নিট পরীক্ষায়। ৪০০ জনের বেশি পড়ুয়া পেয়েছেন এক অঙ্কেরও কম নম্বর।নিট পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রথমে বলা হয়েছিল, প্রত্যেক বিষয়ে ৫০ শতাংশ নম্বর পেতেই হবে। কিন্তু পারসেনটাইল চালু হওয়ায় আগের শর্ত উঠে যায়।

Advertisement

আরও পড়ুন: ছেলেধরা সন্দেহে কর্নাটকে গুগলের ইঞ্জিনিয়ারকে পিটিয়ে খুন

বছরে অন্তত ১৭ লক্ষ টাকা খরচ করে ডাক্তারি পড়তে হচ্ছে বেসরকারি কলেজে। হস্টেল বা লাইব্রেরির খরচ ছাড়াও এই পরিমাণ অর্থ দিতে হবে।এঁদের মধ্যে বেশিরভাগ ভর্তি হচ্ছেন ডিমড বিশ্ববিদ্যালয়ে। শিক্ষামহলের একাংশের অভিযোগ, নিজেদের বোর্ডেই পরীক্ষা দেওয়ার কারণে পাশ করতে অসুবিধা হবে না ছাত্রদের। কাজেই পরবর্তী কালে ডাক্তারি প্র্যাক্টিসে কোনও বাধা থাকবে না।

এই সমীক্ষা সামনে আসার পরই আবারও বিতর্কের মুখে পড়ল নিট। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মত, অর্থ থাকলেই নিম্নমানের নম্বর পেয়ে মেডিক্যালে ভর্তি হওয়া গেলে মেধার মূল্য বলে কিছুই থাকবে না।

আরও পড়ুন: ‘ওকে ছেড়ো না!’ মৃত্যুর আগে ভাইকে টেক্সট দিল্লির বিমানসেবিকার

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement