ফাইল চিত্র।
দিল্লি-সহ দেশের ২৯টি বড় শহরকে অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ। তালিকায় যেমন রয়েছে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি, তেমনই রয়েছে পুদুচেরী, পটনার মতো শহরও। তালিকায় রয়েছে এ রাজ্যের কয়েকটি শহরের নামও। সম্প্রতি, একটি রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি।
তীব্রতার নিরিখে এলাকাগুলিকে কয়েকটি বলয় বা জোনে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জোন ৪ এবং ৫-এর মধ্যে রাখা হয়েছে তীব্র এবং অতি তীব্র ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকাগুলিকে। রিপোর্টে হিমালয়কে বিশ্বের অন্যতম ভূকম্পপ্রবণ অঞ্চল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, অতি-তীব্র ভূকম্পপ্রবণ শহরগুলির বেশিরভাগই হিমালয় বা তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে অবস্থিত।
আরও পড়ুন: নেহরু-এডুইনা সম্পর্ক নিয়ে অকপট কন্যা
ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল বা সিসমিক জোন ৪ও ৫-এর মধ্যে রয়েছে দিল্লি, পটনা(বিহার), শ্রীনগর(জম্মু ও কাশ্মীর), কোহিমা(নাগাল্যান্ড), পুদুচেরী, গুয়াহাটি(অসম), গ্যাংটক(সিকিম), সিমলা(হিমাচলপ্রদেশ), দেহরাদূন(উত্তরাখণ্ড), ইম্ফল(মণিপুর), রুরকি(উত্তরাখণ্ড), আম্বালা(হরিয়ানা) এবং পঞ্জাবের চণ্ডীগড়, অমৃতসর, লুধিয়ানা।
আরও পড়ুন: বাড়ছে না আয়কর রিটার্ন ফাইলের মেয়াদ, শেষ তারিখ আজই
দেশের অতি তীব্র ভূমিকম্পপ্রবণ এই সব এলাকার বেশির ভাগটাই হিমালয়ান জোনের মধ্যে পড়ছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমিওলজি-র হিসেব অনুযায়ী জোন ২ সবচেয়ে কম ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। অন্য দিকে, জোন ৫ সবচেয়ে তীব্র সিসমিক জোনের মধ্যে পড়ছে। জোন ৪ এবং জোন ৫ এর মধ্যে যে সব ছোট ও বড় শহরগুলি রয়েছে সেগুলি হল তীব্র ও অতি-তীব্র ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। জোন ৪-এ রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি শহর।
আরও পড়ুন: অত কথায় কাজ নেই, বুঝলেন নরেন্দ্র মোদী
এরই সঙ্গে এই জোনের মধ্যে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের কিছু অংশ, দিল্লি, সিকিম, উত্তরপ্রদেশের উত্তর প্রান্ত, গুজরাত এবং মহারাষ্ট্রের সামান্য কিছুটা অংশ। জোন ৫-এ রয়েছে গোটা উত্তর-পূর্ব ভারত, জম্মু-কাশ্মীরের কিছুটা অংশ, হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, উত্তর বিহার, আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং গুজরাতের কচ্ছের রন। ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের সচিব এম রাজীবন জানান, বর্তমানে দেশে ৮৪টি ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। আগামী বছর মার্চ মাসের মধ্যে আরও ৩১টি কেন্দ্র নতুন গড়া হবে।