শরদ পওয়ার। —ফাইল চিত্র।
কাকা এবং ভাইপোর দ্বন্দ্ব কি তবে মিটছে? শনিবার পুণেতে অজিত পওয়ারের সঙ্গে শরদের সাক্ষাতের পর এই জল্পনাই ছড়িয়েছিল মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে। সেই সাক্ষাতের ২৪ ঘণ্টা পর জল্পনায় জল ঢাললেন এনসিপি প্রধান। নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করে দুঁদে রাজনীতিক বললেন, ‘‘এনসিপির জাতীয় সভাপতি হিসাবে একটা ব্যাপারে স্পষ্ট করতে চাই। আমার দল কখনওই বিজেপির সঙ্গ নেবে না।’’ একইসঙ্গে জানালেন, বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য তাঁর কয়েক জন ‘শুভাকাঙ্ক্ষী’ তাঁকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু তিনি নিজের অবস্থান বদল করবেন না। অজিতের সঙ্গে সাক্ষাতের পরের দিনই শরদের গলায় ‘শুভাকাঙ্ক্ষী’দের নিয়ে এ হেন মন্তব্য নতুন মাত্রা যোগ করল। ভাইপোর সঙ্গে না-দেখা করারও যে কোনও কারণ নেই, সে কথাও বললেন শরদ।
গত ২ জুলাই আট বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে মহারাষ্ট্রের রাজভবনে গিয়েছিলেন শরদ-ভাইপো। তার পর একনাথ শিন্ডে-বিজেপি সরকারের সঙ্গে হাত মেলান তিনি। রাজ্যের নতুন উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণ করেন পওয়ার-ভাইপো। সেই নিয়ে এনসিপির অন্দরে ‘গৃহযুদ্ধ’ শুরু হয়েছে। অজিত শিবিরের এনসিপি নেতাদের দল থেকে বহিষ্কার করেন শরদ। পাল্টা পদক্ষেপ করে অজিত শিবির। এনসিপির পতাকা এবং নির্বাচনী প্রতীক ‘ঘড়ি’-র অধিকার দাবি করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল অজিত গোষ্ঠী। কমিশনের কাছে একটি হলফনামা দিয়ে ক্যাভিয়েট দাখিল করেছিল শরদ গোষ্ঠী। ভাইপোর ‘বিদ্রোহে’ শরদ জানিয়েছিলেন, তিনি এনসিপি-র পুনর্নির্মাণ করবেন। এনসিপি পরিবারে ভাঙনের পর অবশ্য শরদকেই দলের প্রধান নেতা হিসাবে উল্লেখ করেছেন অজিত। এই পরিস্থিতিতে আগেও শরদের সঙ্গে দেখা করেছেন অজিত। যা নতুন মাত্রা পেয়েছিল। শনিবার আবার কাকা এবং ভাইপোর সাক্ষাৎ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
শরদ আরও বলেছেন, ‘‘আমাদের দলের কেউ ভিন্ন অবস্থান নিয়েছেন। কয়েক জন শুভাকাঙ্ক্ষী আমায় বোঝাচ্ছেন, যদি আমি আমার অবস্থান বদল করি।’’ এর পরই শরদ জানিয়ে দেন যে, তিনি বিজেপির সঙ্গ নেবেন না। অজিতের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ করা নিয়ে আলোচনা চলছে। এই প্রসঙ্গে বর্ষীয়ান রাজনীতিক বলেছেন, ‘‘অজিত আমার ভাইপো। ওর সঙ্গে আমি লুকিয়ে দেখা করিনি। পরিবারের ছোট সদস্যের সঙ্গে দেখা করার মধ্যে অন্যায় কিছু নেই।’’