এনসিপি-প্রধান শরদ পওয়ার। ছবি: পিটিআই।
শুক্রবার সকালেই রাজধানীর যন্তর মন্তরে ‘ইন্ডিয়া’ শিবিরের প্রতিবাদ সভায় মধ্যমণি হয়ে বসেছিলেন এনসিপি-প্রধান শরদ পওয়ার। মোদী সরকারের দুর্নীতি এবং স্বৈরাচার নিয়ে দু'কথা বললেনও তাঁর স্বল্পমেয়াদি বক্তৃতায়। তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে, শিল্পপতি গৌতম আদানির প্রশংসায় পঞ্চমুখ পওয়ার— যে আদানিকে লাগাতার আক্রমণ করে চলেছেন রাহুল গান্ধী তথা কংগ্রেস দল। তাঁদের অস্বস্তি বাড়িয়ে পুণের বারামতীতে নতুন প্রযুক্তি কেন্দ্র গঠনে আদানির অর্থনৈতিক সাহায্যের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পওয়ার।
নিজের সংসদীয় কেন্দ্র বারামতীতে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রোবোটিক ল্যাবরেটরির উদ্বোধন উপলক্ষে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন পওয়ার। বলেন, “আমরা দেশের প্রথম এ আই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) সেন্টার বানাতে চলেছি। নির্মাণ কাজ চলছে। ২৫ কোটি টাকার প্রকল্প এ’টি। টাকা জোগাড়ের পরে আমরা কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। দু’জন সতীর্থকে এ ব্যাপারে সহায়তার আবেদন জানাতে তারা সঙ্গে সঙ্গে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।” এর পরই তিনি বলেন, “প্রথমটি দেশের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্মাণ সংস্থা সাইফোটেক। তারা ঠিক করে, এই প্রকল্পে ১০ কোটি টাকা দেবে। এর পর গৌতম আদানির নামটিও এই উপলক্ষে বলতে হয়। তিনি সংস্থাকে ২৫ কোটি টাকার চেক পাঠিয়েছেন। এই সাহায্যের ফলে প্রকল্প দ্রুত গতিতে এগিয়েছে এবং কাজ চলছে।”
প্রসঙ্গত মাস চারেক আগেই আদানির পাশে দাঁড়িয়ে ইন্ডিয়া-র অস্বস্তি তৈরি করেছিলেন পওয়ার। প্রথমে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ারের দরে কারচুপির অভিযোগ ওঠার পরে যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি)-র তদন্তের বিরোধিতা করেছিলেন বর্ষীয়ান এই নেতা। এর পর গত সেপ্টেম্বরে গুজরাতের সানন্দে আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধারের পাশে দাঁড়িয়েই এক সঙ্গে একটি কারখানার উদ্বোধন করেন পওয়ার। আদানির বাড়ি এবং অফিসেও গিয়েছিলেন তিনি। পরে এক্স হ্যান্ডলে পওয়ার লেখেন, ‘গুজরাতের চাচরওয়াড়িতে গৌতম আদানির সঙ্গে ভারতের প্রথম ল্যাক্টোফেরিন প্লান্টের উদ্বোধন করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি।’ পওয়ারের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করা অনুষ্ঠানের ছবি শেয়ার করে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজ়াদ পুনাওয়ালা লেখেন, ‘ছবি হাজারটা কথা বলছে, কিন্তু যদি রাহুল গান্ধী আদৌ শোনেন। ইন্ডিয়া ব্লকে কেউ রাহুল গান্ধীকে গুরুত্ব
দেয় না।’