ফাইল ছবি।
ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিভিন্ন দেশের সামরিক শক্তিবৃদ্ধিকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য শত্রুদের আক্রমণ করতে পরমাণু শক্তিচালিত ৬টি সাবমেরিন (এসএসএন) বানানোর প্রয়োজন হয়ে পড়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর। গত ৩ মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এই প্রয়োজনের কথা জানিয়েছেন নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিংহ। বিষয়টি নিয়ে গত ৪ মার্চ গুজরাতের কেভাড়িয়ায় সেনাবাহিনীর তিনটি শাখার (পদাতিক, বিমান ও নৌ) কম্যান্ডারদের সম্মেলনেও আলোচনা হয়।
নৌবাহিনী সূত্রের খবর, কেভাড়িয়ার সম্মেলনের পরেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি উত্থাপন করার সুযোগ খুঁজছিলেন নৌ-কর্তারা। সেই সুযোগ আসে গত ৩ মে। কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলি থেকে আনার জন্য নৌবাহিনীর ‘সমুদ্রসেতু ২’ অভিযান নিয়ে অ্যাডমিরাল করমবীর সিংহের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার সময়।
নৌবাহিনী সূত্রের খবর, ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নৌবাহিনীর কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। সেগুলি সমুদ্রোপকূলবর্তী আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপদু’টিতে ওষুধ ও চিকিৎসার সরঞ্জাম পৌঁছে দিতেও কাজ করে। এর পাশাপাশি ওই অঞ্চলে এ বার কয়েকটি পরমাণু শক্তিচালিত অত্যন্ত শক্তিশালী সাবমেরিন রাখারও প্রয়োজন হয়ে পড়েছে নৌবাহিনীর। সেগুলি শুধুই ওই অঞ্চলে নজরদারি চালাবে তা নয়, পিছু না হটে শক্রকে আক্রমণ করে এলাকা থেকে হটিয়ে দেওয়ারও ক্ষমতা রাখবে।
আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রীকে নৌপ্রধান এও বলেছেন, ‘‘আগামী দিনে ভারতের নিরাপত্তাকে সুরক্ষিত করতে গেলে শুধুই ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় এই সব সাবমেরিন রাখলেই কাজ হবে, তা নয়। উষ্ণায়নের ফলে বরফ গলে যাওয়ার জন্য ওই পথ ধরে উত্তর (‘আর্কটিক’) মহাসাগরে পৌঁছনোটা সহজ হয়ে গিয়েছে। তাই উত্তর মহাসাগরে বিভিন্ন দেশের সামরিক শক্তিবৃদ্ধির উপরেও নজর রাখতে ও বাড়াতে হবে।’’
এই ধরনের সাবমেরিনে যুদ্ধাস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র থাকে। ভারতের হাতে এই মুহূর্তে এমন সাবমেরিন আছে ২টি। তার একটি দেশে তৈরি হলেও অন্যটি রাশিয়ার কাছ থেকে ‘লিজ’-এ নেওয়া। এমন আর একটি সাবমেরিন আগামী বছর নৌবাহিনীর হাতে আসতে চলেছে।
এর পরেও ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে সুরক্ষিত রাখতে এমন আরও ৬টি সাবমেরিন বানানোর প্রয়োজন হয়ে পড়েছে সম্প্রতি এমন ধরনের ১২টি সাবমেরিন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র থাকা ৭টি সাবমেরিন চিনা বাহিনীর হাতে আসায়।