হেসে প্রায় লুটোপুটি খাওয়ার অবস্থা সনিয়া গাঁধীর। পাশে মনমোহন সিংহের হাত ধরে বোধ হয় বললেনও, ‘‘শুনছেন কী বলছে?’’ কঠোর মুখে ছিলেন মনমোহন। হেসে ফেললেন তিনিও।
কংগ্রেসের দু’দিনের প্লেনারি অধিবেশনে সভাগৃহ জুড়ে এমন হাসির রোল এর আগে কখনও ওঠেনি। মঞ্চে তখন মনমোহন সিংহের বিখ্যাত ‘মৌনতা’ নিয়েই একের পর এক মজার কথা বলে চলেছেন নভজোৎ সিংহ সিধু। প্রায় এক বছর আগে যিনি বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। বিজেপিতে থাকার সময় ব্যঙ্গের সুরে নিত্য বিঁধতেন মনমোহনকে। আজ তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়ে ‘রিভার্স স্যুইং’ দিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার। বললেন, ‘‘মনমোহন সিংহজি আপনি মৌন থাকতেন। কিন্তু আপনার মৌনতা বুঝতেই আমার দশ বছর লেগে গেল। এখন দেখছি, আপনার মৌনতা যা করে দেখিয়েছে, বিজেপির কলরবও তা করতে পারল না। আপনি সর্দার তো বটে, এখন দেখছি ‘অসরদার’ও।’’
মনমোহনকে সিধুর প্রশ্ন, ‘‘আচ্ছা আপনি তো জ্যোতিষী হতে পারতেন। নোটবন্দির পর ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন ২% বৃদ্ধির হার কমবে। তাই হয়েছে। ‘খ্যাটাক’ করে বৃদ্ধির হার কমে গিয়েছে। ঠোকো তালি।’’ সিধুর কথা শুনে সভাগৃহে হাসি। হাসির মাত্রা বাড়ল যখন সিধু আক্রমণ করলেন বিজেপিকেই, ‘‘বিজেপি শুনে নাও, এই আরবি ঘোড়া বুড়ো হতে পারে। কিন্তু সেটি গাধার আস্তাবলের থেকে ভাল।’’
আরও পড়ুন: কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধ শুরু রাহুলের
নতুন দলের সঙ্গে নতুন নেতার জন্যও পণ করেছেন সিধু। মনেপ্রাণে রাহুল ‘ভাই’কে দেখতে চান পরের বছর লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা ওড়াতে। কৃতজ্ঞতা জানালেন সনিয়া-কন্যা প্রিয়ঙ্কাকেও। যাঁর সঙ্গে একটি বৈঠকের পরই কংগ্রেসে যোগ দিতে দ্বিধা করেননি সিধু।