—প্রতীকী ছবি।
নিট-এর পরে নেট। ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষার পরে এ বার বিতর্কে ‘গবেষণার প্রবেশদ্বার’ ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট। ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন (ইউজিসি) আয়োজিত নেট-এর পরীক্ষা হয়েছিল মঙ্গলবার। কিন্তু বুধবার তা বাতিল করার কথা ঘোষণা হয়েছে।
অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগের কারণেই এ বছর জুনের নেট পরীক্ষা বাতিল করা হল বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের সূত্র উদ্ধৃত করে প্রকাশিত সংবাদে জানানো হয়েছে, ওই অনিয়ম সংক্রান্ত তদন্তের ভার সিবিআই-কে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রক।
গত মঙ্গলবার (১৮ জুন) দু’টি অর্ধে নেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন প্রায় ৯ লক্ষ শিক্ষার্থী। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা ‘ভারতীয় সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার’ (১৪সি)-এর জাতীয় সাইবার ক্রাইম থ্রেট অ্যানালিটিক্স ইউনিট থেকে পাওয়া কিছু তথ্যের ভিত্তিতে পরীক্ষায় ‘প্রশ্ন ফাঁস’ সংক্রান্ত অনিয়মের বিষয়টি নজরে এসেছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। তার পরেই মন্ত্রকের কাছে পরীক্ষা বাতিলের বার্তা পাঠায় আয়োজক সংস্থা ‘ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি’ (এনটিএ)।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছরই জুন ও ডিসেম্বর মাসে ইউজিসি নেট পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। পরীক্ষা আয়োজনের দায়িত্বে থাকে জাতীয় পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা (এনটিএ)। এটি ‘জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ’ প্রদান এবং দেশের বিভিন্ন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর’ নিয়োগের জন্য যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা। এ বছর জুন পর্বের ইউজিসি নেট হওয়ার কথা ছিল ১৬ জুন। তবে গত মাসের শেষে একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয় বিশেষ কারণবশত পরীক্ষার দিন পিছিয়ে ১৮ জুন করা হবে। দেশের বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে ওই দিন দু’টি অর্ধে ‘ওএমআর’ শিটের মাধ্যমে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল।