প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
আরজি কর-কাণ্ডের পর দেশের হাসপাতালগুলির সামগ্রিক নিরাপত্তা বাড়ানোর পথ খুঁজতে জাতীয় টাস্ক ফোর্স (এনটিএফ) গঠন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এই বিষয়ে সকলের মতামত এবং পরামর্শ জানতে নিজেদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে ‘সাজেশনস টু এনটিএফ’ নামে একটি পোর্টালকে যুক্ত করেছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ২২ অগস্ট সেই পোর্টাল চালু হয়। প্রায় দু’মাস পরে দেখা যাচ্ছে, ওই পোর্টালের মাধ্যমে মোট ১৭০০টি মতামত এবং পরামর্শ পেয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নড্ডার মন্ত্রক।
এই ১৭০০টি মতামত এবং পরামর্শের মধ্যে ১৫০০টি পাঠিয়েছেন বিভিন্ন মানুষ। ৩৭টি পাঠিয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এই তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন হাসপাতালও। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফেই এই পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে। স্থির হয়েছিল ব্যক্তিবিশেষ থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের সকলেই টাস্ক ফোর্সের জন্য তাঁদের পরামর্শ নথিভুক্ত করতে পারবেন। সেই সব পরামর্শ নিয়েও টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে আলোচনা হবে।
আরজি করে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পরেই হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা কাঠামো ঢেলে সাজাতে টাস্ক ফোর্স গঠনের প্রস্তাব দেয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। টাস্ক ফোর্স মূলত দু’টি বিষয়ে কাজ করবে বলে জানায় শীর্ষ আদালত। এক, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের উপর হিংসা এবং লিঙ্গগত বৈষম্য দূর করা। দুই, হাসপাতালের চিকিৎসক, ইন্টার্ন, রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের নিরাপদ কাজের পরিবেশ তৈরি করার জন্য একটি প্রোটোকল বা নিয়মবিধি তৈরি করা।
আরও জানানো হয়, হাসপাতালের নিরাপত্তা, পরিকাঠামো উন্নয়ন, সঙ্কটজনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় কর্মী নিয়োগের বিষয়টি টাস্ক ফোর্স তদারকি করবে। কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতন রুখতে যে আইন, তা সরকারি হাসপাতালগুলির পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও কার্যকর রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখবেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যেরা। চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের নিরাপত্তায় একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে। দশ সদস্যের এই টাস্ক ফোর্স প্রথম বৈঠকে বসে গত ২৭ অগস্ট।