বৃহস্পতিবার লোকসভায় মল্লিকার্জুন খাড়্গে। ছবি: সংগৃহীত।
সব কাজ বন্ধ রেখে ইডি-সিবিআইকে বিরোধীদের উপর চাপ দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে, সংসদে অভিযোগ করলেন বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার সংসদের দুই কক্ষেই এই অভিযোগ নিয়ে আলোচনার দাবিতে হইহট্টগোল শুরু করেন কংগ্রেস সাংসদরা। যাঁরা ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডির ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই বার বার অভিযোগ করেছেন।
বুধবারই ন্যাশনাল হেরাল্ডের অফিসে গিয়ে ইয়ং ইন্ডিয়ার দফতরটি সিল করে দেয় ইডি। কথা ছিল বুধবারই তারা তদন্তের প্রয়োজনের কংগ্রেসের সদর দফতরেও হাজির হতে পারে। সেই সম্ভাবনার কথা জানতে পেরে কংগ্রেসের সদর দফতরটি ঘিরে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কংগ্রেস কর্মীরা। এর পরই বৃহস্পতিবার সকালে সংসদ ভবনে বসে কংগ্রেস সাংসদদের বৈঠক। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই সংসদের দুই কক্ষের অধিবশেনে কংগ্রেসের পরবর্তী রণকৌশল নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরে অধিবেশন শুরু হতেই কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁরা এ কথাও স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যে ভাবে বিরোধী দলগুলির মুখ বন্ধ করতে ইডি-সিবিআইকে ব্যবহার করে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে, যে ভাবে স্বয়ংক্রিয় সংস্থাগুলির অপব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিয়ে অবিলম্বে আলোচনা হওয়া দরকার। তা না হলে তাঁরা সংসদ চলতে দেবেন না।
কংগ্রেসের সাংসদ মল্লিকার্জুন এবং কেসি বেণুগোপাল এ ব্যাপারে সংসদে নিজেদের বক্তব্য পেশ করেন। কংগ্রেস সাংসদরা লোকসভা এবং বিধানসভা কক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে এর পরই রাজ্যসভা দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং লোকসভা দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতবি করে দেওয়া হয়।