গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
পহেলগাঁও সন্ত্রাস এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের আবহে সাত বছর পরে নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ পুনর্গঠন করল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর অলোক জোশী উপদেষ্টা পর্ষদের প্রধান হচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর জমানায় সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে এত দিন পর্যন্ত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালই কার্যত একচ্ছত্র দায়িত্ব পালন করেছেন। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে তাঁর ভূমিকা কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা হল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ইতিমধ্যেই।
ছয় সদস্যের জাতীয় নিরাপত্তা পর্ষদে মূলত অবসরপ্রাপ্ত সেনা এবং আইপিএস আধিকারিকেরা রয়েছেন। সেই সঙ্গে রয়েছেন প্রাক্তন কূটনীতিক বি বেঙ্কটেশ বর্মা। ভারতীয় বায়ুসেনার পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রাক্তন প্রধান এয়ার মার্শাল (অবসরপ্রাপ্ত) পিএম সিংহ, স্থলসেনার দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রাক্তন জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) একে সিংহ এবং নৌসেনার অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মন্টি খান্না রয়েছেন উপদেষ্টা পর্ষদে।
অলোক ছাড়াও দুই অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার রাজীবরঞ্জন বর্মা এবং মনমোহন সিংহও ঠাঁই পেয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদে। প্রসঙ্গত, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নেতৃত্বাধীন ‘জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ’ সুরক্ষা সংক্রান্ত মূল পদক্ষেপের দায়িত্বে রয়েছে। সরকারি সূত্রের ব্যাখ্যা, অলোকের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পর্ষদের কাজ হবে সুরক্ষাজনিত দৃষ্টিকোণ পর্যালোচনা করে ডোভালের কমিটিকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে সাত বছর পরে হঠাৎ উপদেষ্টা পর্ষদের পুনর্গঠন নিয়ে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের পর এই প্রথম পুনর্গঠিত হল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ।
প্রসঙ্গত, কাশ্মীরে পহেলগাঁওয়ে গত মঙ্গলবারের (২২ এপ্রিল) হত্যাকাণ্ডের ঘাতকদের এক জনেরও খোঁজ মেলেনি এখনও। কিন্তু বৈসরন উপত্যকার জঙ্গি হানায় ২৫ জন পর্যটক এবং এক জন স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু ঘিরে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছে। সেই সঙ্গে উপত্যকা জুড়ে চলছে সেনা তৎপরতা। এই ঘটনায় পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর-এ-ত্যায়বার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজ়িস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) দায়ী বলে অভিযোগ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে মঙ্গলবার নিজের বাসভবনে সামরিক আধিকারিক এবং গুরুত্বপূর্ণ আমলাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসে সেনাবাহিনীকে পরবর্তী বিষয়ে পদক্ষেপ করার জন্য ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির বৈঠক হয়।