প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সারা দেশ।
অটলবিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুতে গোটা দেশ জুড়ে শোকের আবহ। তাঁর মৃত্যুতে ভারত সরকার ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে। অটলবিহারীর প্রয়াণে কে কী বললেন—
রামনাথ কোবিন্দ: অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্ব দূরদর্শিতা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও বাগ্মিতা তাঁকে স্বাতন্ত্র্য দিয়েছিল, যার তুলনা শুধু তিনিই।
নরেন্দ্র মোদী: অটলবিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণে একটা যুগের অবসান হল। দশকের পর দশক তিনি দেশের সেবা করেছেন। অটলজির প্রয়াণ ব্যক্তিগত ভাবে আমার কাছে অপূরণীয় ক্ষতি। আমার মতো বিজেপি-র এক জন কর্মকর্তার কাছে তিনি ছিলেন অনুপ্রেরণা। তাঁর তীক্ষ্ণ যুক্তিবোধ এবং গভীর মনন আমার চির দিন মনে থাকবে।
শেখ হাসিনা: উপমহাদেশের শান্তি রক্ষা ও উন্নতিতে ওঁনার অবদান ভোলার নয়। উনি বাংলাদেশের অত্যন্ত সম্মানিত বন্ধু। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে ওঁনার অবদান গুরুত্বপূর্ণ। আজ বাংলাদেশের খুব দুঃখের দিন।
রাহুল গাঁধী: দেশ তাঁর মহান সন্তানকে হারাল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী কোটি কোটি ভারতবাসীর ভালবাসার এবং শ্রদ্ধার মানুষ ছিলেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: মহান রাষ্ট্রনেতা বাজপেয়ীজির মৃত্যু দেশের কাছে অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর সঙ্গে আমার জড়িয়ে আছে বহু ঘটনার স্মৃতি। তাঁর পরিবার এবং অনুগামীদের সমবেদনা জানাই।
অমিত শাহ: দলকে তিনি বটবৃক্ষে পরিণত করেছিলেন।
মুরলীমনোহর জোশী: তিনি প্রকৃত অর্থে জননায়ক ছিলেন।
প্রণব মুখোপাধ্যায়: বিরোধী হিসাবে যুক্তিবাদী সমালোচক এবং প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনি ছিলেন সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলার মানুষ। তাঁর মৃত্যুতে যুগের অবসান হল।
রজনীকান্ত: আমি শোকাহত। বাক্রুদ্ধ।
লালকৃষ্ণ আডবাণী: ৬৫ বছরের এক বন্ধুকে হারালাম।
রাজনাথ সিংহ: এই গভীর বেদনা প্রকাশের ভাষা নেই। বাজপেয়ীজি ছিলেন অজাতশত্রু। তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন এক শক্তিশালী ভারত গড়ে তোলার, যে ভারতের আদর্শ হবে ঐক্য, অখণ্ডতা ও সম্প্রীতি।
আরও পড়ুন: ‘গীত নয়া গাতা হুঁ’ শুনুন বাজপেয়ীর সেই কণ্ঠস্বর
মনমোহন সিংহ: আধুনিক ভারতের মহান নেতা ছিলেন।
সীতারাম ইয়েচুরি: যদিও আমরা রাজনীতি ও আদর্শের প্রশ্নে একে অন্যের চরম বিরোধিতা করেছি, কিন্তু অটলবিহারী বাজপেয়ীজির সুন্দর স্বভাব, সৌজন্যবোধ এবং রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা তাঁকে সকলের চেয়ে আলাদা করে রেখেছিল।
আরও পড়ুন: যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন বাজপেয়ী
অটলবিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শোকাহত। ভারত-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতিতে ওঁনার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ওঁনার প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়কালেই আমেরিকা ভারতের ‘স্বাভাবিক মিত্র’ হয়ে ওঠে।