নাসিরুদ্দিন শাহ। —ফাইল চিত্র।
কৃষক আন্দোলন নিয়ে ভারতীয় নক্ষত্রজগতের বড় অংশই নীরব ছিলেন। তবে রিহানা-গ্রেটা থুনবার্গদের টুইটের জবাবে কেন্দ্রীয় সরকার পাল্টা প্রচারে নামার পরে একই সুরে সুর মিলিয়ে দেশের ঐক্যের পক্ষ মুখ খুলেছেন তাঁরা। অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ শনিবার এক ভিডিয়ো সাক্ষাৎকারে ভারতীয় তারকাদের এই নীরব থাকার অভ্যাসের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন।
২০১৮ সালের শেষ দিকে বুলন্দশহরে গোরক্ষকদের হাতে পুলিশ অফিসার খুনের ঘটনার পরেও দেশে ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতা নিয়ে সরব হয়েছিলেন নাসির। সেই সঙ্গে কটাক্ষ করেছিলেন বলিউডের ‘নীরব’ তারকাদের উদ্দেশে। আজও একই ভাবে তিনি বলেছেন, ‘‘দেশের বড় বড় তারকারা যা উপার্জন করেছেন, তাতে তাঁদের সাত প্রজন্ম বসে খেতে পারে। তার পরেও কী এত হারানোর ভাবনা? ওঁরা তো চুপ করে আছেন এই ভেবেই যে, মুখ খুলে অনেক কিছু হারাতে হতে পারে।’’
কৃষক আন্দোলন থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্গতি, সবই এ দিন উঠে এসেছে নাসিরের কথায়। তার সঙ্গে তাঁর সহকর্মীদের নীরবতা নিয়ে তাঁর উদ্বেগ। তিনি বলেছেন, ‘‘দিনের শেষে শত্রুবাক্য নয়, মিত্রের নীরবতাই ভাবায়। আমাদের চাষিরা যখন কনকনে ঠান্ডায় বসে থাকেন, আমরা অন্ধ হয়ে থাকতে পারি না। আমি নিশ্চিত, এই আন্দোলন আরও গতি পাবে। আরও মানুষ যোগ দেবেন। সেখানে চুপ করে থাকা মানে অত্যাচারীকেই সাহায্য করা।’’
ঘটনাচক্রে এ দিন কৃষকদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অধিকারের বিষয়টি ভারত সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে ইউএস-ইন্ডিয়া ককাস। গোষ্ঠীর সহ-প্রধান আমেরিকার কংগ্রেস সদস্য ব্র্যাড শেরম্যান বলেন, “গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য ভারত সরকারের কাছে আর্জি জানাচ্ছি। কৃষকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অনুমতি দেওয়া উচিত। আন্দোলনের জায়গায় ইন্টারনেট সংযোগ এবং সাংবাদিকদের গতিবিধি থাকা প্রয়োজন। ভারতের সব বন্ধুই আশা করে, আলোচনার মাধ্যমে দু’পক্ষ শীঘ্রই সহমতে পৌঁছতে পারবে।”
কৃষক আন্দোলনের সপক্ষে মুখ খুলেছেন হলিউডের আরও এক নামী অভিনেত্রী। অস্কারজয়ী সুসান সারানডন একটি খবরের লিঙ্ক টুইটারে দিয়ে লিখেছেন, ‘‘যদি কেউ ভারতের কৃষক আন্দোলন সম্পর্কে জানতে চান, কৃষকরা কারা এবং কেন প্রতিবাদ করছেন— সে বিষয়ে আগ্রহী হন, তা হলে প্রতিবেদনটি পড়তে পারেন।’’ সেই সঙ্গে #ফার্মার্সপ্রোটেস্ট জুড়ে লিখেছেন, তিনি কৃষকদের পাশে।