ফাইল চিত্র।
চিনের রক্তচক্ষুকে প্রকাশ্যে অগ্রাহ্য করে তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামার ৮৬তম জন্মদিনে তাঁকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরে আন্তর্জাতিক মহলে বার্তা দিতে চেয়ে এই ফোনালাপের কথা টুইটও করলেন তিনি। সূত্রের খবর, এ দিন প্রধানমন্ত্রী দলাই লামার সঙ্গে ২০ মিনিট কথা বলেন। পরে টুইটারে তিনি লেখেন, ‘সম্মাননীয় দলাই লামার সঙ্গে এ দিন ফোনে কথা হয়েছে। তাঁর ৮৬তম জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানালাম। আমরা তাঁর দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবনের জন্য প্রার্থনা করি।’
গত বছর ভারত-চিনের রক্তাক্ত গালওয়ান সংঘর্ষের এক মাসের মধ্যেই ছিল দলাই লামার জন্মদিন। কিন্তু সে বারের থমথমে আবহাওয়ায় দলাই লামার জন্মদিন নিয়ে কোনও স্বর শোনা যায়নি সাউথ ব্লকের তরফে। তা ছাড়া সাম্প্রতিক অতীতে কখনওই দলাই লামার জন্মদিনে তাঁকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর ফোন করা এবং সে কথা প্রচার করার মতো ঘটনা ঘটেনি। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, গত এক বছরে চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যেটুকু আশা বা স্বপ্ন ছিল মোদী সরকারের, তা ক্রমশ নিভে যাচ্ছে। তার সব চেয়ে বড় কারণ, পনেরো মাস ধরে লাগাতার কথা বলা সত্ত্বেও সমস্ত সংঘর্ষ-বিন্দু থেকে সেনা পিছোয়নি চিন। ভারতের টহলদারি পোস্টে থানা গেড়ে বসে রয়েছে পিএলএ এবং সেটা গিলতে বাধ্য হচ্ছে কেন্দ্র। বাণিজ্যিক অতিনির্ভরতার কারণে বেজিংকে কাঙ্ক্ষিত চাপ দিতে পারা যাচ্ছে না।
ফলে, হাতে রইলেন দলাই লামা। ভারত-চিন চলতি সংঘাতের মধ্যে আজকের ফোন দ্বিপাক্ষিক কাঁটা হতে পারে। এই মুহূর্তে চিনে চলছে তাদের কমিউনিস্ট পার্টির একশো বছর পূর্তির উৎসব। বিজেপির তরফ থেকে শি চিনফিংকে শুভেচ্ছা জানানো হয়নি। বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, এটা সরকারি বিষয় নয়, বার্তা দেওয়ার প্রশ্ন নেই। আজ চিনা কমিউনিস্ট পার্টির পরিচালনায় একটি ভিডিয়ো অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজার মতো বাম নেতারা। তবে বিজেপির বিদেশ বিষয়ক সেল-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজয় চৌথিওয়াল জানিয়েছেন, এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না।