‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নিয়ে ফের সক্রিয় মোদী

প্রধানমন্ত্রিত্বের মেয়াদের শেষ পর্বে এসে নিজের স্বপ্নের প্রকল্প ‘অ্যাক্ট ইস্ট’-এ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিকে শামিল করার জন্য সক্রিয় হলেন প্রধানমন্ত্রী  নরেন্দ্র মোদী। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:০১
Share:

সিঙ্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী। পিটিআই

প্রধানমন্ত্রিত্বের মেয়াদের শেষ পর্বে এসে নিজের স্বপ্নের প্রকল্প ‘অ্যাক্ট ইস্ট’-এ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিকে শামিল করার জন্য সক্রিয় হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের একাধিপত্যকে যুঝতে তাঁর সিঙ্গাপুর সফরের শেষ দিনে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে কৌশল তৈরির চেষ্টাও করলেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি ত্রয়োদশ ইস্ট এশিয়া সম্মেলনের ফাঁকে আজ সমুদ্রনীতি নিয়ে আমেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চতুর্দেশীয় বৈঠক সারলেন সাউথ ব্লকের কর্তারা।

আসিয়ানভুক্ত দশটি দেশের (ভিয়েতনাম, মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ইত্যাদি) সঙ্গে এই নিয়ে মোদীর পঞ্চম পূর্ব এশিয়া সম্মেলন। আঞ্চলিক শান্তি, সমৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য তৈরি এই ব্যবস্থাকে মোদী গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের গোড়া থেকেই। এই দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর পাশাপাশি চিনের বিরুদ্ধে একটি আঞ্চলিক জোট গড়ে তোলার একটা চেষ্টাও ছিল নয়াদিল্লির। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দক্ষিণ চিনা সাগরে বেজিং-এর একাধিপত্যের বিরোধিতা করে ভারতকে নেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে এর আগেই অনুরোধ করেছিল ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলি।

Advertisement

কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, চিনের সঙ্গে একই সঙ্গে নরম-গরম নীতি নিয়ে চলার ফলে মোদী সরকারের পক্ষে কখনওই সম্ভব হয়নি এই জোটের নেতৃত্ব দিয়ে ড্রাগনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর। বরং ডোকলামে সংঘর্ষের পরে ভারতও আরও বেশি করে বেজিংকে তুষ্ট রাখার নীতি নিয়েই এগিয়েছে গত এক বছরে।

আজ বৈঠকের পরে মোদী টুইট করেন, ‘‘আসিয়ানভুক্ত রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে দুর্দান্ত আলোচনা হয়েছে। আমরা খুশি যে আসিয়ানের সঙ্গে বন্ধন যথেষ্ট পোক্ত হয়ে উঠেছে। এই বন্ধন শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ বিশ্ব তৈরিতে সাহায্য করবে।’’ বৈঠকের পর বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার জানিয়েছেন, ‘‘ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে উদার এবং শান্তিপূর্ণ নৌ-সহযোগিতার বিষয়ে নয়াদিল্লির অবস্থান আজ ব্যাখ্যা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।’’

পাশাপাশি, চতুর্দেশীয় বৈঠকটির পর বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘প্রত্যেকটি দেশই এ ব্যাপারে একমত হয়েছে যে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সহযোগিতার মূল বিষয়টি নির্ভর করছে স্বাধীন, উন্মুক্ত চিন্তা এবং সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগোনোর উপরেই। সব দেশের সার্বভৌমত্ব, আন্তর্জাতিক আইন, সাম্য এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতার উপরে ভিত্তি করে সংযোগ এবং পরিকাঠামো তৈরি করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement