নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক দিল্লি সফরের পর থেকে শুরু হওয়া দৈনিক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তখন নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বিজেপি নেতা বিজয় গয়াল। দিল্লিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে। বেলা ১১টা বাজতেই বিক্ষোভ শিকেয় তুলে চালিয়ে দেওয়া হল নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত’। আর সেখানেই শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে বাংলার আবেগ উস্কে দিতে চাইলেন মোদী।
মাস দুয়েক আগে রেডিয়োতে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শুনিয়েছিলেন তাঁর রবীন্দ্রনাথ-ভক্তির কথা। বলেছিলেন, রোজ ভোর পাঁচটায় উঠে রেডিয়োতে রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনতেন তিনি। যদিও আকাশবাণী কর্তৃপক্ষ ওই সময়ে কোনও অনুষ্ঠানের কথা মনেই করতে পারেনি। আজ
সেই ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে জুড়ে দিলেন শ্যামাপ্রসাদকে। বললেন, পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন নিয়ে অনেক আবেগ ছিল শ্যামাপ্রসাদের। তাঁর বোধ, বিবেক আর সক্রিয়তার জন্যই বাংলার একটি অংশ বাঁচানো গিয়েছে, যেটি আজও ভারতের অঙ্গ।
গত কালই ছিল শ্যামাপ্রসাদের মৃত্যুদিন। যাকে ঘিরে অমিত শাহ জম্মুতে গিয়ে জাতীয়তাবাদের তাস খেলে এসেছেন। এ বারে সেই শ্যামাপ্রসাদকে সামনে রেখে বাংলার মন জিততে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব। ৬ জুলাই শ্যামাপ্রসাদের জন্মতিথির আগে অমিত যাচ্ছেন বাংলায়। নিজের সেনাপতির সফরের সুরটি আজ বেঁধে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদী বলেন, খুব কম লোকই জানেন, ১৯৩৭ সালে শ্যামাপ্রসাদের আমন্ত্রণে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে বাংলায় বক্তৃতা দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ইংরেজ জমানায় সেটি প্রথম ঘটনা। ১৯৪৭-৫০ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রথম শিল্পমন্ত্রী হিসেবে বড়-ছোট-মাঝারি শিল্পে জোর দিয়েছিলেন। প্রতিরক্ষায় স্বদেশিকরণ থেকে চিত্তরঞ্জন লোকোমেটিভ, দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনও তাঁর উদ্যোগে তৈরি।