কে চন্দ্রশেখর রাও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথে হাঁটতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।—ছবি পিটিআই।
লোকসভা ভোটের আগে চাষিদের ক্ষোভ শান্ত করতে কে চন্দ্রশেখর রাও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথে হাঁটতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সরকারি সূত্রের খবর, তেলঙ্গানায় রাওয়ের ‘রায়তু বন্ধু’-র ধাঁচেই চাষের মরসুমের শুরুতে একর প্রতি চার হাজার টাকা করে সরাসরি চাষিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। তার সঙ্গে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত সুদহীন ঋণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা হতে পারে।
তেলঙ্গানায় চাষিদের জন্য এই প্রকল্প রূপায়ণ করেই সাফল্য পেয়েছেন কে চন্দ্রশেখর রাও। নতুন বছরের শুরুতে পশ্চিমবঙ্গেও একই ধাঁচের প্রকল্প ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পে প্রতি বছর দু’দফায় প্রতি একর জমিতে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তেলঙ্গানায় অবশ্য বছরে খরিফ, রবি মরসুম মিলিয়ে কৃষক একর প্রতি আট হাজার টাকা পাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবারই বলেছেন, কৃষকদের ঋণ মকুব করে দিলে লাভ হয় না। কেন ঋণের কবলে চাষিরা পড়ছেন, তা দেখা দরকার। সরকারি সূত্রের বক্তব্য, মরসুমের শুরুতেই সার-বীজ, সেচের জলের খরচের জন্য সরকারের ঘর থেকে টাকা মিললে চাষিদের ধার করারই দরকার পড়বে না। সে ক্ষেত্রে অবশ্য সারে ভর্তুকি তুলে দেওয়া হতে পারে।
এখন কৃষকরা চাষের জন্য তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত সাত শতাংশ হারে সুদে ঋণ পান। ঋণ শোধ করে দিলে সরকার সুদের হারে তিন শতাংশ ভর্তুকি দেয়। যার অর্থ, ঋণ শোধ করতে পারলে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত চার শতাংশ হারেই সুদ মেলে। এখন তার মধ্যে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণে ওই চার শতাংশ সুদের দায়ও নিতে পারে কেন্দ্র।
প্রাথমিক হিসেবে, দু’টি প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রায় ২.২ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হবে। কিন্তু সারের ভর্তুকি তুলে দিলে কেন্দ্রের প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। অর্থাৎ ১.৫ লক্ষ কোটি টাকাতেই চাষিদের মন জয়ের রাস্তা তৈরি করে ফেলতে পারবে কেন্দ্র।