পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠী বা এনএসজি-তে ভারতের অন্তর্ভূক্তিই হোক বা পাকিস্তানের জঙ্গি নেতা মাসুদ আজহারকে সন্ত্রাসবাদী বলে চিহ্নিত করা, সম্প্রতি এই দুই ইস্যুতেই বেজিঙের তোলা আপত্তিতে রুষ্ট নয়াদিল্লি। ঠিক এই পরিস্থিতিতেই তিন দিনের আমেরিকা সফরে ওয়াশিংটনে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
গত চার বছর ধরেই ৪৮টি দেশের পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠী বা এনএসজি-তে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত। কিন্তু, এতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে চিন। ভারত এনএসজি-র সদস্য হওয়ার আবেদন জানালেও তাতে রাজি নয় চিন। চিনা বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে সই না করাতেই তাদের আপত্তি। এই অবস্থায় ভারতের ভরসা আমেরিকা। দক্ষিণ চিন সাগর সহ বিভিন্ন ইস্যুতে আমেরিকার সঙ্গেও চিনের টানাপোড়েন চলছে নরমে গরমে। এই চিন-মার্কিন দ্বন্দ্বই আমেরিকাকে পাশে পেতে নরেন্দ্র মোদীর বড় ভরসা।
হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে দেখা করবেন মোদী। আগামিকাল মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বক্তা হিসেবে রয়েছেন তিনি। এ ছাড়া, রয়েছে মার্কিন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সাক্ষাতের সূচি।
আমেরিকায় মোদীর সফরে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি:
১) সোমবার সন্ধ্যায় আমেরিকার গৃহযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের স্মৃতিতে আরলিংটন ন্যাশনাল সেমেটারিতে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন নরেন্দ্র মোদী।
২) মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে বারাক ওবামার সঙ্গে দেখা করবেন মোদী। মোদীর সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজও করবেন ওবামা। এর আগে ছ’বার সাক্ষাৎ হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার। পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠী বা এনএসজি-তে ভারতের অন্তর্ভূক্তি নিয়েও আলোচনা হবে। মধ্যাহ্নভোজের পর ইন্দো-মার্কিন বাণিজ্য পরিষদের শীর্ষ নেতা-সহ সে দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন মোদী।
৩) দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ওবামার সঙ্গে পরিবেশ, নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হবে।
৪) ওভাল হাউসে ঘণ্টা খানেকের বৈঠকের পর মোদী-ওবামার যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন হবে।
৫) কালো টাকা এবং কর ফাঁকি দেওয়া রুখতে দু’দেশই আলোচনা করবে বলে জানিয়েছেন মোদী।
আরও পড়ুন
চিনের প্রাচীর পেরোনোই লড়াই মোদীর