প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই ।
বিভিন্ন দলের আট সাংসদকে নিয়ে শুক্রবার মধ্যাহ্নভোজ সারলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংসদের ক্যান্টিনে খোশগল্প করতে করতে ওই আট জন সাংসদের সঙ্গে খাবার খেলেন তিনি। খাওয়ালেন বিশেষ লাড্ডু। মধ্যাহ্নভোজের আসরে প্রধানমন্ত্রীর নিজের দল বিজেপির সাংসদরা তো ছিলেনই, ওই আট জনের মধ্যে ছিলেন অন্য দলের সাংসদেরাও।
সংসদের ক্যান্টিনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ হিনা গাভিত, এস ফাংগন কোনিয়াক, জাময়াং সেরিং নামগিয়াল, এল মুরুগান। ছিলেন তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-র সাংসদ রামমোহন নাইডু, বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)-র সাংসদ রীতেশ পাণ্ডে এবং বিজু জনতা দল (বিজেডি)-এর সাংসদ সস্মিত পাত্র-ও।
সাংসদদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করছেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: পিটিআই।
বাজেট অধিবেশন চলছে। তার জন্য সংসদ ভবনেই ছিলেন ওই আট সাংসদ। দুপুর আড়াইটা নাগাদ তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের আমন্ত্রণ পান বলে সূত্রের খবর। অন্য একটি সূত্রের দাবি, আমন্ত্রিত সাংসদদের উদ্দেশে মোদী বলেন, ‘‘চলিয়ে, আপকো এক পানিশমেন্ট দেনা হ্যায় (আপনাদের একটা শাস্তি দিতে চাই)।’’
এর পরেই আট সাংসদকে নিয়ে সংসদ ভবনের ক্যান্টিনে খাবার খেতে যান প্রধানমন্ত্রী। খাবারের তালিকায় ছিল, ভাত, ডাল, খিচুড়ি এবং রাগির তৈরি লাড্ডু। ৪৫ মিনিট ধরে চলে মধ্যাহ্নভোজ। সূত্রের খবর, খাবার খেতে খেতে প্রধানমন্ত্রীর জীবনযাপনের কথা উঠে আসে। মোদী কখন ঘুম থেকে ওঠেন, কী খাবার খান, তা নিয়েও কথাবার্তা হয়। মধ্যাহ্নভোজের সময় রাজনীতি নিয়ে কোনও কথা উঠে আসেনি বলেই সূত্রের খবর।
মধ্যাহ্নভোজে উপস্থিত একজন সাংসদ সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে বলেন, ‘‘সংসদের ক্যান্টিনে দুপুরের খাবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সৌহার্দ্য বিনিময় হয়। গল্প হয়। ভাল সময় কেটেছে।’’
অন্য আর এক সাংসদের কথায়, ‘‘আমরা যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসে খাবার খাচ্ছিলাম, তা এক বারের জন্যও মনে হয়নি।’’