—প্রতীকী ছবি।
কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ একাধিক বিরোধী দল আপত্তি তুলেছে আগেই। কিন্তু তাতে আমল না দিয়ে সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনেই দণ্ডসংহিতা বিল পেশ করতে পারে নরেন্দ্র মোদী সরকার। বুধবার কেন্দ্রের তরফে ১৮টি বিল নিয়ে আলোচনার জন্য তালিকাভুক্তির নোটিস দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম এই বিল।
গত ১১ অগস্ট সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় তিনটি বিল পেশ করে জানিয়েছিলেন, ১৮৬০ সালে তৈরি ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ (ভারতীয় দণ্ডবিধি) প্রতিস্থাপিত হবে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ দিয়ে। ১৮৯৮ সালের ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট’ (ফৌজদারি দণ্ডবিধি) প্রতিস্থাপিত হবে ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ দ্বারা এবং ১৮৭২ সালের ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’ (ভারতীয় সাক্ষ্য আইন) প্রতিস্থাপিত হবে ‘ভারতীয় সাক্ষ্য বিল’-এ।
এর পরেই বিল তিনটি সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, শাহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের এই আইন বদলের বিষয়ে চিঠি পাঠান। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাঠানো ২২ অগস্টের সেই চিঠির বুধবার জবাব দিয়েছেন মমতা। স্পষ্ট ভাষায় লিখেছেন, ‘‘আইন বদলের এই উদ্যোগ ভারতীয় জনজীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই চূড়ান্ত সতর্কতা বজায় রেখেই এ ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করতে হবে।’’ চিঠিতে মমতার দাবি, বর্তমান লোকসভার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। তাই তাড়াহুড়ো করে শীতকালীন অধিবেশনে যেন এ সংক্রান্ত বিল পাশের চেষ্টা না করা হয়। কংগ্রেস, ডিএমকে-সহ একাধিক বিরোধী দলও বিল পাশে তাড়াহুড়ো নিয়ে আপত্তি তুলেছে। কিন্তু রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করছেন, সেই আপত্তিতে কান না দিয়ে শীতকালীন অধিবেশনেই বিল পাশ করবে কেন্দ্র।
আগামী ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মোট ১৫ দিন অধিবেশন বসার কথা সংসদের দুই কক্ষের। ঘটনাচক্রে, তার আগের দিন, ৩ ডিসেম্বর মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান, তেলঙ্গানা এবং মিজ়োরাম — এই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণা হবে। কেন্দ্রের তরফে বুধবার যে বিলগুলি আলোচনার তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর এবং পুদুচেরির বিধানসভায় মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণ কার্যকরের সংশোধনী।