ছবি: সংগৃহীত।
শেষরক্ষা করতে পারলেন না সনিয়া গাঁধী। গত কাল তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, কোনও অবস্থাতেই যেন আরটিআই বিলটি রাজ্যসভায় পাশ না হয়। কিন্তু নতুন সরকার আজ প্রথম পরীক্ষাতেই পাশ করে গেল।
নবীনের বিজেডি ও কেসিআর-এর টিআরএস এর আগে সব বিরোধী দলের সঙ্গে বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবেই স্বাক্ষর করেছিল। এনডিএ শরিকদের সঙ্গে এই ‘বন্ধু’রা পাশে এলে রাজ্যসভায় শাসকের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হয়। সেই লক্ষ্যপূরণে মোদী এদিন সফল। তাই নিয়ে দিনভর চলে নাটক। ভোটাভুটির সময়ে টিডিপি থেকে বিজেপিতে আসা সাংসদ রমেশ যেন ‘বুথ দখলে’ নেমেছেন বলে অভিযোগ করেন বিরোধীরা। রমেশের বক্তব্য, ওঁরা হারবেন দেখে দোষ চাপাচ্ছেন!’’
ক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ পরে বলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩০৩ আসন কী করে পেয়েছে? আজই তার প্রমাণ পাওয়া গেল। রাজ্যসভাকে সরকারের একটি বিভাগ করে দেওয়া হয়েছে।’’ প্রতিবাদে গোটা বিরোধী শিবির সভাকক্ষ ত্যাগ করে। বিজেডি-টিআরএস-ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সাংসদরা থেকে যান।
সভাকক্ষ ত্যাগের পরেও একবার তৃণমূলের সুখেন্দুশেখর রায় রাজ্যসভায় প্রবেশ করে নিয়ম দেখিয়ে বলেন, সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব খারিজ হলে বিলও বাতিল হয়। ডেপুটি চেয়ারম্যান সেই যুক্তিও খারিজ করে দেন। ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘‘রাজ্যসভা টেলিভিশনে পুরোটা দেখানো উচিত। হুমকি দেওয়া হচ্ছে, চাপ দেওয়া হচ্ছে।’’ কংগ্রেসের জয়রাম রমেশের বক্তব্য, ‘‘গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় যোজনা কমিশন নরেন্দ্র মোদীকে প্রশ্ন করত। পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, নোটবন্দি, এনপিএ নিয়ে রঘুরাম রাজনের রিপোর্ট, কালো টাকার অঙ্ক নিয়ে নানা ভাবে তথ্য কমিশনার বেগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। আজ তারই বদলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এটিকেও নখদন্তহীন করে দিলেন।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।