Broadcasting Regulation Bill

সম্প্রচার পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ বিলের নতুন খসড়া পেশ হবে সংসদে, বিতর্কের মধ্যেই ঘোষণা কেন্দ্রের

সংসদে গত বছরই সম্প্রচার পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ বিল পেশের বার্তা দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু বিল পেশ হওয়ার আগে তার খসড়া প্রস্তুতির প্রক্রিয়া নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়ে যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২৪ ২৩:২২
Share:

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। —ফাইল চিত্র।

সংবাদমাধ্যম এবং সমাজমাধ্যমে ‘লাগাম পরানোর’ উদ্দেশ্যে এ বার সম্প্রচার পরিষেবা (ব্রডকাস্টিং) নিয়ন্ত্রণ বিলের নতুন খসড়া পাশ করাতে উদ্যোগী হচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সোমবার কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক জানিয়েছে, পরবর্তী পর্যায়ে বিলের নয়া খসড়া প্রকাশ করা হবে।

Advertisement

সংসদে গত বছরই সম্প্রচার পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ বিল পেশের বার্তা দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু বিল পেশ হওয়ার আগে তার খসড়া প্রস্তুতির প্রক্রিয়া নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। বিরোধীদের অভিযোগ, সংসদের পেশ হওয়ার আগেই তা প্রকাশ্যে এসে গিয়েছিল। যদিও কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে সাফাই দেওয়া হয়, এ সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ এবং জনসাধারণের মত চেয়ে ব্যাখ্যামূলক নোট-সহ একটি খসড়া ২০২৩ সালের অক্টোবরে মন্ত্রকের ওয়েবাসাইটে দেওয়া হয়েছিল।

সেই মতামতের ভিত্তিতেই নতুন খসড়া তৈরি কাজ চলছে বলে মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে সোমবার। কংগ্রেসের অভিযোগ, মোদী সরকার প্রাতিষ্ঠানিক সংবাদমাধ্যমের পরে এ বার সমাজমাধ্যমেও (সোশ্যাল মিডিয়া) লাগাম পরাতে চাইছে। ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্স পোস্টে সরকারি নিয়ন্ত্রণ বলবৎ করতে সক্রিয় হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর পছন্দ না হলে তা ‘ফেক নিউজ়’ বলে সেই খবর সরানোর ক্ষমতা নিজের হাতে তুলে নিয়েছে। কিন্তু অনেক সাংবাদিক এখন নিজের মতো করে ইউটিউব চ্যানেল চালাচ্ছেন। তাঁরা সরকারের ভুলত্রুটি তুলে ধরছেন। নির্বাচনে বিজেপিকে তার খেসারতও দিতে হয়েছে। এখন তাঁদের উপরে সরকারের নজর পড়েছে। নতুন বিল এনে তাঁদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা চলছে।

Advertisement

অন্য দিকে, তৃণমূলের অভিযোগ, কেন্দ্র এ বিষয়ে আইন তৈরি নিয়েই মিথ্যে কথা বলছে। মোদী সরকার ১৯৯৫ সালের কেবল টিভি নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ আইন তুলে দিয়ে নতুন সম্প্রচার পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ বিল আনতে চাইছে। সূত্রের খবর, নয়া বিলে ‘প্রভাবী’ ইউটিউবার, ইনস্টাগ্রামার-দের নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে মোদী সরকার। তাঁদের নাম নিবন্ধীকরণ এবং অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। যা সরাসরি বাক্‌স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ বলে বিরোধীদের অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement