—ফাইল চিত্র।
পুলওয়ামার ঘটনার পরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বায়ুসেনার হামলা ভারতে ভোটের মোড় অনেকটাই ঘুরিয়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তার মধ্যেই ফের প্রত্যাঘাত নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ইঙ্গিতপূর্ণ জবাব এল স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে।
এক বেসরকারি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার-পর্বে তাঁকে প্রশ্ন করা হয় যে, পাকিস্তান তো এখনও ভয়ে আছে যে আরও কিছু হতে পারে? জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনি কি প্রত্যাশা করেন, আমি সংবাদমাধ্যমের সামনে এই বিষয়ে সব বলব? আপনি কি প্রত্যাশা করেন, আমার ভবিষ্যতের ব্যুহ রচনার তাস খুলব? দেশের নিরাপত্তার বিষয় খুব সংবেদনশীল হয়। হওয়ার পর জানা যায়।’’
প্রধানমন্ত্রীর মতে, পাকিস্তানের জনতার সঙ্গে ঝগড়া আজও নেই। লড়াই শুধু সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। ২৬/১১-র সব তথ্য পাকিস্তানকে দেওয়া হয়েছে। তারা শান্তি বজায় রাখতে চাইলে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করুক। যাতে গোটা দুনিয়া বুঝতে পারে, সত্যিই ‘অ্যাকশন’ হয়েছে। মোদী বলেন, ‘‘যত বার কথা হয়েছে, ভরসা দিয়েছে পদক্ষেপ করবে। আর সেই ফাঁদে পড়তে চাই না। ভারতের একটিই দাবি, সন্ত্রাস ছাড়ো। এর পর আমার মুখ না দেখলেও সমস্যা নেই।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বালাকোট অভিযানের প্রমাণ চাওয়ার জন্য বিরোধীদের নিশানা করে মোদীর মন্তব্য, ‘‘এক মাস হয়ে গেল, পাকিস্তান এখনও লাশ গুনে যাচ্ছে, আর ওঁরা প্রমাণ চাইছেন!’’ বিরোধীদের মতে, আসলে ভোটের মুখে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ যুদ্ধ জিগিরটা জিইয়ে রেখে দেশভক্তির তাস খেলছেন মোদী ও তাঁর দল। যাতে বেকারি, কৃষক সঙ্কট, মূল্যবৃদ্ধি, দলিত নিগ্রহের মতো মৌলিক সমস্যাগুলি থেকে দৃষ্টি ঘোরানো যায়। এই প্রসঙ্গেই আজ অযোধ্যায় প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, বিজেপি বলছে, কংগ্রেস জিতলে পাকিস্তানে উৎসব হবে। জবাবে প্রিয়ঙ্কা কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘‘পাকিস্তানে বিরিয়ানি খেতে তো উনিই গিয়েছিলেন না!’’