প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
ভাই হিসেবে সংখ্যালঘু মহিলাদের পাশে থাকার জন্য বিজেপি নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিলেন নরেন্দ্র মোদী। লোকসভার আগে এ বার সংখ্যালঘু পরিবারের মহিলাদের মন জয়ে উদ্যোগী হতে চলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
সংখ্যালঘু সমাজের পিছিয়ে পড়া পসমন্দা শ্রেণির পাশে থাকার বার্তা গত এক বছর ধরে দিয়ে আসছেন নরেন্দ্র মোদী। এ বার সংখ্যালঘু সমাজের মহিলাদের আস্থা অর্জনে তাঁদের হাত থেকে রাখি বাঁধার কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে বিজেপি। সূত্রের মতে, রাখি উৎসবের মাধ্যমে আপদে-বিপদে সংখ্যালঘু মহিলাদের পাশে থাকার বার্তা দেবেন বিজেপি কর্মীরা। কিন্তু গত দু’দিন ধরে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী সংঘর্ষে জ্বলছে হরিয়ানা। সেখানে মোদীর ওই রাখিবন্ধনের বার্তার আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। বিরোধীদের বক্তব্য, হিন্দু সমাজ মুখ ফেরাচ্ছে দেখে এখন মরীয়া হয়ে সংখ্যালঘুদের ভোট পেতে সক্রিয় হয়েছেন মোদীর দল।
পসমন্দা শ্রেণির ভরসা জয়ে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামকে আইকন হিসেবে তুলে ধরে ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে ‘স্নেহ যাত্রা’ শুরু করেছে বিজেপি। পরবর্তী পদক্ষেপে এ বার সংখ্যলঘু মহিলাদের আস্থা অর্জনে বিজেপি সাংসদদের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন মোদী। গত সোমবার এনডিএ সাংসদদের বৈঠকে মোদী আগামী ৩০ অগস্ট রাখি উৎসবের দিনে সংখ্যালঘু মহল্লায় গিয়ে মুসলিম মহিলাদের হাত থেকে রাখি বাঁধার জন্য বিজেপি নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। ঠিক হয়েছে, ‘রক্ষাবন্ধন’ উৎসবের মাধ্যমে ভাই হিসেবে সংখ্যালঘু মহিলাদের আপদে-বিপদে পাশে থাকার প্রশ্নে ভরসাও দেবেন বিজেপি কর্মীরা। বৈঠকে তিন তালাকের প্রসঙ্গ তোলেন মোদী। তিন তালাক বিরোধী আইন প্রণয়ন হওয়ার ফলে মুসলিম মহিলাদের জীবন কতটা সুগম হয়েছে তার প্রচারেও জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কোভিডের সময় থেকে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য বিতরণ, আয়ুষ্মান কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসার মতো কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি কী ভাবে সংখ্যালঘু পরিবারের জীবন বদলে দিচ্ছে তা নিয়েও সংখ্যালঘু এলাকায় প্রচারে জোরদেন মোদী।
বিরোধীদের মতে, বিজেপি শাসনে বৈষম্য, উৎপীড়নের শিকার হচ্ছেন সংখ্যালঘুরা। মোদী যতই মন জয়ের চেষ্টা করুন না কেন, সংখ্যালঘুরা বিজেপির বিরুদ্ধেই ভোট দেবেন।