প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল ছবি।
লোকসভা নির্বাচনে অন্যান্য রাজ্যের মতোই হরিয়ানায় গিয়েও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘চারশো পার’-এর আওয়াজ তুলেছিলেন। তাতে হিতে বিপরীত হয়। তফসিলি জাতি, জনজাতি, ওবিসি, দলিত সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশের ভোট চলে গিয়েছিল কংগ্রেসের দিকে। এ বার হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে দলিত, ওবিসি ভোটকে ‘পাখির চোখ’ করলেন মোদী। সেই সঙ্গে ঘুরিয়ে আবার পুরনো অস্ত্রই প্রয়োগ করলেন। প্রচার করলেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এসে সংরক্ষণ তুলে দেবে।
গত ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার ফলে বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধির মতো বিষয়গুলি নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া প্রবল। তার মোকাবিলা করতে কংগ্রেসকে দুর্নীতিগ্রস্ত, দলিত-বিরোধী, অন্তর্দ্বন্দ্বে জর্জরিত বলে উল্লেখ করে বার বার মোদীর সতর্কবার্তা, ‘ভুল করেও যেন কংগ্রেস এই রাজ্যে না আসে’।
সোনিপথের কাছে প্রচারসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “কংগ্রেস দলিত, ওবিসি, পিছিয়ে থাকা সমাজকে ঠকিয়েছে কংগ্রেস। ১০ বছর আগে যখন হুডাজি এখানকার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন এমন একটা দিনও যায়নি যখন দলিতের সঙ্গে কোনও না কোনও অন্যায় করা হয়নি। আজ হরিয়ানার দলিত সমাজ আবারও কংগ্রেসের নাটক দেখছে।” এরপর তিনি লোকসভার প্রচারের রেকর্ডই ফের বাজিয়েছেন, “বাবা সাহেব অম্বেডকর ওবিসি-কে সংরক্ষণ দিয়েছিলেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতা থেকে দূরে রয়েছে, সেখানে এই সম্প্রদায় তাদের অধিকার পেয়েছে।”
সম্প্রতি আমেরিকা সফরে গিয়ে সংরক্ষণ কবে ভারতে তুলে দেওয়া হবে এই প্রশ্নের জবাবে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, “এটা তখনই সম্ভব হবে যখন দেশে জাতপাতের ভিত্তিতে অসাম্য থাকবে না।” প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “দেখলাম শাহি পরিবারের চতুর্থ প্রজন্মও সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার কথা বলছেন। হরিয়ানাবাসী এই সংরক্ষণ বিরোধীদের কাছ থেকে সাবধানে থাকুন।”