ফাইল চিত্র
গুরুগ্রামে নমাজ পড়ার জন্য ৩৭টি জায়গা নির্দিষ্ট ছিল। তার মধ্যে আটটি জায়গার অনুমতি বাতিল করে দিল গুরুগ্রামের স্থানীয় প্রশাসন। প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ওই জায়গাগুলিতে নমাজ পড়া নিয়ে স্থানীয় মানুষেরা আপত্তি জানিয়েছেন। যে হেতু জায়গাগুলি কোনও ব্যক্তি মালিকানার নয়, সাধারণের ব্যবহারের জন্য, তাই আপত্তি থাকায় ওই স্থানগুলিতে নমাজের অনুমতি বাতিল করতে হয়েছে। পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাকি ২৯টি স্থানগুলি নিয়ে যদি কোনও আপত্তি ওঠে, সে ক্ষেত্রেও অনুমতি বাতিল করা হবে।
গুরুগ্রামের স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘যে কোনও খোলা জায়গায় নমাজ পড়তে গেলে স্থানীয় প্রশাসনের থেকে অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু যদি স্থানীয় মানুষ এই নমাজে সায় না জানান, তা হলে সেখানে অনুমতি দেওয়া হবে না।’ যে স্থানগুলির অনুমতি বাতিল করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে বেঙ্গলি বস্তি (সেক্টর ৪৯), ডিএলএফ ফেজ থ্রি-এর ব্লক ফাইভ, সুরতনগর ফেজ ওয়ান ও ডিএলএফ স্কোয়্যার টাওয়ার। এ ছাড়া গুরুগ্রাম সীমান্তে খেরকি মাজরা ও দৌলতাবাদ গ্রামের কাছে দু’টি স্থানে অনুমতি বাতিল করা হয়েছে।
এই সমস্ত স্থানের মসজিদ বা দরগা-তে বা বাড়ির ভিতরে নমাজ পড়া যাবে। কিন্তু দল বেঁধে কোনও সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জায়গায় নমাজ পড়া যাবে না। এর আগেই প্রশাসনের তরফ থেকে স্পষ্ট বলা হয়েছিল কোনও রাস্তা বন্ধ করে নমাজ পড়া চলবে না। নির্দিষ্ট কোনও স্থানে, স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমতি নিয়ে নমাজ পড়তে হবে। শেষ কয়েকসপ্তাহ ধরেই নমাজ পড়া নিয়ে প্রতিবাদ, পাল্টা প্রতিবাদের ঢেউ দেখছে গুরুগ্রাম। কয়েকদিন আগেই সেক্টর ১২-এ এলাকায় নমাজ পড়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামেন হিন্দুবাদী সংগঠনের সদস্যরা। ঘটনায় অশান্তি এড়াতে ৩০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।