প্রতীকী ছবি।
গাজিয়াবাদের ঘটনার ছায়া এ বার গুরুগ্রামে। রাস্তার একটি ঝোপ থেকে উদ্ধার হল এক অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর স্যুটকেসবন্দি নগ্ন দেহ। যৌনাঙ্গে ক্ষতচিহ্ন। কোমরে ছ্যাঁকার দাগ। তরুণী ধর্ষণের শিকার বলেই পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। সোমবার ওই স্যুটকেসটি দেখতে পান এক অটোচালক। এই ঘটনায় বুধবার গাজিয়াবাদের রাস্তায় উদ্ধার বস্তাবন্দি যুবতীর কথা মনে পড়িয়ে দিচ্ছে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ হরিয়ানার গুরুগ্রামের ইফকো চকের রাস্তার একটি ঝোপে ওই পরিত্যক্ত স্যুটকেসটি দেখতে পান স্থানীয় এক অটোচালক। সন্দেহ হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন তিনি। পুলিশ এসে ওই স্যুটকেস থেকে এক তরুণীর দেহ উদ্ধার করে। মঙ্গলবার এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এনেছে গুরুগ্রাম পুলিশ।
গুরুগ্রামের ডিসিপি (ওয়েস্ট) দীপক সাহারন জানিয়েছেন, ওই তরুণীর বয়স আনুমানিক ২২-২৫ বছর। সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি বলেন, ‘‘মৃতার নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি, তবে শীঘ্রই আমরা এ সম্পর্কে আলোকপাত করতে পারব।’’ ওই তরুণীকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। ময়নাতদন্তে তরুণীর যৌনাঙ্গে ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। তাঁর কোমরের কাছে একাধিক ছ্যাঁকার দাগও ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, যে এলাকা থেকে স্যুটকেসবন্দি দেহটি পাওয়া গিয়েছে, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি অপরাধীর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার গাজিয়াবাদের রাস্তা থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় এক তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে পুলিশ। পুলিশকর্তারা জানিয়েছেন, টানা দু’দিন ধরে ধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে হাত-পা বেঁধে তাঁকে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করা ওই তরুণীর ঘটনা মনে পড়িয়ে দিচ্ছে ২০১২ সালে দিল্লির ‘নির্ভয়া’-গণধর্ষণকাণ্ড।