৯৩তম জন্মদিনেই প্রয়াত হলেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা এনডি তিওয়ারি। দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। ভর্তি ছিলেন দিল্লির ম্যাক্স সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ ওই হাসপাতালেই মারা গিয়েছেন তিনি। এ দিনই ছিল তাঁর ৯৩তম জন্মদিন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে এই ম্যাক্স হাসপাতালে স্ট্রোক বা মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন তিওয়ারি। গত জুলাই মাসে তাঁর একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হতে শুরু করে। এর পর নিউমোনিয়া এবং জ্বরের কারণে তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু, কোনও চিকিৎসাতেই আর সাড়া দিচ্ছিলেন না তিওয়ারি।
২০০২ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত তিনি উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। উত্তরপ্রদেশ ভেঙে নতুন রাজ্য হওয়ার পর সেই রাজ্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এনডি তিওয়ারির ভূমিকা ছিল বলে এ দিন টুইট করেছেন উত্তরাখণ্ডের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়ত। তিনি লিখেছেন, ‘উত্তরাখণ্ডের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং শিল্পোন্নয়নের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন এনডি তিওয়ারি। রাজ্যটিকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে যথেষ্ঠ সাহায্য করেছিলেন তিনি।’
আরও পড়ুন: আকবরের মানহানির মামলা শুনবে আদালত, পরের শুনানি ৩১ অক্টোবর
উত্তরাখণ্ড ছাড়াও এনডি তিওয়ারি অভিভক্ত উত্তরপ্রদেশেরও মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্যপালের দায়িত্ব সামলেছেন প্রায় ২ বছর। ২০০৯-এ সেই দায়িত্ব ছেড়ে দেন। সেই সময়েই তাঁর বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে। যদিও ৮৬ বছরের তিওয়ারি সেই সময় শারীরিক অক্ষমতার কথা বেলই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: অষ্টমীর রাতে প্যান্ডেলে ঢুকে খুন, গুলি-বোমায় পণ্ড ইলাহাবাদের দুর্গাপুজো
দীর্ঘ দিন ধরেই কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এনডি তিওয়ারি। নয়ের দশকের গোড়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়েও ছিলেন। তবে ১৯৯৪ সালে দল ছেড়ে দেন। অর্জুন সিংহের সঙ্গে সেই সময় নতুন দলও গড়েন, কংগ্রেস (তিওয়ারি)। পরে সনিয়া গাঁধী কংগ্রেসের সভানেত্রী হওয়ার পর দু’জনেই দলে ফিরে আসেন।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)