এন বীরেন সিংহ। —ফাইল চিত্র।
আর ছ’মাসের মধ্যেই মণিপুরের পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ। তিনি সাংবাদিকদের জানান, কুকি ও মেইতেই নেতাদের মধ্যে শান্তি স্থাপন ও সমঝোতার উদ্দেশ্যে এই প্রথম মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি হলেন, নাগা বিধায়ক তথা হিল এরিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ডাইনাগাংলুং গাংমেই। এর আগে বীরেনের অনুরোধে কুকি-জো-দের সঙ্গে কথা বলেন মিজ়োরামের মুখ্যমন্ত্রী লালডুহোমা।
অবশ্য পৃথক প্রশাসনের দাবিতে কুকি জনগোষ্ঠী আজ মণিপুর ও দিল্লিতে বিরাট প্রতিবাদ মিছিল ও সভার আয়োজন করে। অংশ নেন হাজার হাজার মানুষ। চূড়াচাঁদপুরে লেইসাং, কাংপোকপির কেইথেলমানবি, টেংনাওপালের মোরেতে কুকি-জ়োমিদের মিছিল বেরোয়। চূড়াচাঁদপুরের মিছিল চলে ৬ কিলোমিটার। স্বরাষ্ট্র কমিশনার এন অশোক কুমার আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন, রাজ্যে কোথাও শনিবার অফিস, স্কুল দোকানপাট বন্ধ রাখা চলবে না। কিন্তু কুকি এলাকায় সব বন্ধ ছিল আজ। প্রতিবাদ মিছিলের পরে জেলাশাসকের হাতে পৃথক প্রশাসনের দাবিপত্র তুলে দেয় প্রতিবাদকারীরা। দিল্লির যন্তরমন্তরেও কুকিদের প্রতিবাদ সভা হয়। পেনিয়েল গ্রামে বিজেপির প্রদেশ মুখপাত্রের বাড়িতেও এ দিন আক্রমণ হয়। এ দিকে নাগা এলাকার সদর হিলে নাগারা নিরপেক্ষতা বজায় রাখার নির্দেশ দিলেও সেখানে কুকিদের প্রতিবাদে বিক্ষিপ্ত অশান্তি হওয়ায় উত্তেজনা ছড়ায়।
এই পরিস্থিতিতে বীরেন বলেন, “আলোচনাই সমস্যা সমাধানের রাস্তা। আমার আশা মধ্যস্থতার মাধ্যমে ও কেন্দ্রের সহযোগিতায় ৫-৬ মাসের মধ্যেই শান্তি ফিরবে রাজ্যে।” তিনি যে কোনও ভাবেই পদত্যাগ করবেন না তা-ও স্পষ্ট করে দেন বীরেন।