শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক উদ্ধব ঠাকরে-সহ অন্যান্যরা। ছবি: সংগৃহীত।
কর্নাটক পারলে মহারাষ্ট্র কেন নয়! বিধানসভা ভোটে কর্নাটকের ফল ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাই পড়শি রাজ্য মহারাষ্ট্রের বিরোধী জোটের সদস্যরাও বৈঠকে বসলেন। শনিবারই কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনে ১৩৫টি আসন জিতে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিকে কোণঠাসা করে দিয়েছে কংগ্রেস। সেই ফল প্রকাশিত হওয়ার পরই মহারাষ্ট্রের মহাবিকাশ আঘাড়ী জোটকে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠালেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার।
রবিবার শরদের বাড়িতে বিশেষ বৈঠকে যোগ দিলেন কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি নানা পাটোলে, শিন্ডেবিরোধী শিবসেনার প্রধান উদ্ধব ঠাকরে-সহ মহা বিকাশ আঘাড়ী জোটের অন্যান্য দলের নেতারা। শরদের বাসভবন ‘সিলভার ওক’-এ তাঁরা বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, বিরোধী জোটের দলগুলির মধ্যে পারষ্পরিক হৃদ্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শরদ এই বৈঠেক ডেকেছিলেন। সেখানে আগামী নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে মহাবিকাশ আঘাড়ীর রণকৌশল কী হতে চলেছে, তা নিয়েও আলোচনা হয়।
মহারাষ্ট্রে পূর্বতন মহাবিকাশ আঘাড়ী সরকারকে সরিয়ে একনাথ শিণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই কিছুটা স্তিমত হয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের বিরোধীরা। জোটের চিহ্নও দেখা যাচ্ছিল না একটা সময়ে। উদ্ধবের দল এনসিপি, কংগ্রেস ছিটকে গিয়েছিল পরষ্পরের থেকে। একসঙ্গে তাঁদের দেখা পাওয়া যেত না বড় একটা। অবশেষে কর্নাটকের ভোটের হাওয়া এসে লাগল মহারাষ্ট্রের পালে। আর সেই হাওয়া লাগতেই নড়ে চড়ে বসল মহারাষ্ট্রের বিজেপি বিরোধীরা।
রবিবার এনসিপি প্রধানের বাড়িতে বৈঠকে এনসিপি প্রধান ছাড়াও যোগ দিলেন উদ্ধব, সঞ্জয় রাউত, পাটোলে, অজিত পাওয়ার, বালাসাহেব থ্রোট, সুপ্রিয়া সুলে, জয়ন্ত পাটিলের মতো জোটের প্রথম সারির নেতারা।
ওই বৈঠক শেষে উদ্ধবের শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রের মহাবিকাশ আঘাড়ী জোটে নিজেদের মধ্যে কোনও ভুল বোঝাবুঝি নেই। কর্নাটকে যদি ৪০ শতাংশ দুর্নীতি থেকে থাকে তবে মহারাষ্ট্রের ১০০ শতাংশই দুর্নীতিতে ঢাকা। তাই মহারাষ্ট্রের এই সরকারকে মানুষ পরাজিত করবে।’’
প্রদেশ কংগ্রেস প্রধান পাটোলে বলেন, ‘‘কর্নাটকের মতোই মহারাষ্ট্রের মানুষও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকে দেখিয়ে দেবে যে, তারা বিজেপিকে পছন্দ করেন না।’’
এনসিপির নেতা জয়ন্ত পাটিল বলেন, ‘‘আপাতত সমস্ত ছোট বড় বিরোধী দলগুলিকে একত্র করে মহারাষ্ট্র থেকে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে মুখের মতো জবাব দেওয়ার পরিকল্পনা করছি আমরা।’’