মুথুট গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এমজি জর্জ মুথুট। ছবি: সংগৃহীত।
নিজের বাড়ির পাঁচতলা থেকে পড়ে গিয়ে নিহত হলেন মুথুট গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এমজি জর্জ মুথুট। শুক্রবার রাতে আহত অবস্থায় মুথুটকে দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন শনিবার মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ জানিয়েছে, মুথুটের ময়নাতদন্তে কোনও অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ দিল্লির পূর্ব কৈলাস এলাকায় নিজের বাড়ির পাঁচতলা থেকে আচমকাই নীচে পড়ে যান ৭১ বছরের মুথুট। দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস)-এ তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
সোনা বন্ধক দিয়ে ঋণের পারিবারিক ব্যবসায় চূড়ান্ত সাফল্য নিয়ে এসেছিলেন মুথুট। এই গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা জর্জ নিনান মাথাইয়ের নাতি হলেও সংস্থার উঁচু পদে যোগ না দিয়ে সাধারণ অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে কেরিয়ার শুরু করেন তিনি। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট থেকে নজরকাড়া উন্নতি করেন। ১৯৭৯ সালেই মুথুট গোষ্ঠীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ’৯৩-তে গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান।
গত শতকের আটের দশকে যৌথ পরিবার ভেঙে গেলে ব্যবসাও ভাগাভাগি হয়ে যায়। তার পর নিজের প্রচেষ্টায় মুথুট পাপ্পাচেন গোষ্ঠী শুরু করেন। সোনার বন্ধক থেকে ঋণ দেওয়ার ব্যবসাও ছড়িয়ে দেন। আর্থিক, সুলভ গৃহঋণ, পরিকাঠামো থেকে হাসপাতাল, হোটেল ব্যবসা থেকে শিক্ষা ক্ষেত্র— এ ধরনের ২০টিরও বেশি ক্ষেত্রে ব্যবসার বিস্তার করেছেন মুথুট। কোচির সদর দফতর থেকে বিদেশের মাটিতেও পা রেখেছে এই গোষ্ঠী। ৩১ শাখা থেকে মুথুট গোষ্ঠীর ৫,৫৫০-এর বেশি শাখা ছড়িয়ে দিয়েছেন গোটা দেশে। তবে যে ব্যবসার হাত ধরে চূড়ান্ত সাফল্য এসেছে, সেই মুথুট ফাইনান্সকে নতুন শিখরে পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি। গত ডিসেম্বরের ত্রৈমাসিকে ওই সংস্থার থেকে ঋণের পরিমাণ ছিল ৫৬ হাজার কোটি টাকা। গত বছর ফোর্বর্স এশিয়ার বিচারে দেশের ধনীদের মধ্যে ৪৪ নম্বরে ছিলেন মুথুট। সেই সঙ্গে ৫০০ কোটিরও বেশি সম্পদের মালিকানা রেখে গিয়েছেন মুথুট।