Pocso

১৭ বছরের কিশোরকে ‘বিয়ে,’ যৌন নির্যাতনের দায়ে গ্রেফতার তরুণী

বিয়ের চারমাসের মধ্যেই ওই তরুণী সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়ে। একটি মেয়ের জন্ম দেয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৮ ১৭:০৩
Share:

অভিযুক্ত তরুণীর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ।

নাবালককে বিয়ে। আবার তার সন্তানেরও জন্ম দিয়েছেন। এই অভিযোগে গ্রেফতার একতরুণী। যৌন নির্যাতন এবং শিশু সুরক্ষা আইনে (পকসো) মামলাও দায়ের হয়েছে তার বিরুদ্ধে। মামলা দায়ের হয়েছে বাল্য বিবাহ আইনেও।সেইসঙ্গে অভিযোগ আনা হয়েছে অপহরণ এবং অপরাধমূলক প্ররোচনা দেওয়ার। শিশুকন্যাকে নিয়ে আপাতত মুম্বইয়ের বাইকুলা জেলের কুঠুরিতে ঠাঁই হয়েছে ওই তরুণীর। তবে জামিনের জন্য আদালতে আর্জি জানিয়েছে সে। শুক্রবার সেই আবেদনের শুনানি।

Advertisement

পুলিশের তরফে ওই তরুণীর নাম, পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের ৮ নভেম্বর ১৭ বছরের ছেলেটির সঙ্গে ২২ বছরের ওই তরুণীর বিয়ে হয়। তার পরের মাসে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ছেলেটির মা। তিনি জানান, বিয়ের কিছুদিন পর, ২৩ নভেম্বর রাত ১০টা নাগাদ আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে আচমকাই তাঁদের বাড়িতে হাজির হয় ওই তরুণী। একসঙ্গে সেখানে থাকতে চায় বলে জানায়। তাঁরা রাজি না হলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যায়। তার পিছুপিছু বেরিয়ে যায় তাঁর অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেও। কাকুতি মিনতি করেও লাভ হয়নি। বাড়ি ফিরতে অস্বীকার করে সে।

পরিচয় থেকে বিয়ে, গত দু’বছর ওই মহিলার সঙ্গে থাকাকালীন ছেলের আচরণে অস্বাভাবিক পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা। তাঁর দাবি, ২০ এবং ১৮ বছর বয়সী দুই মেয়ে রয়েছে তাঁর। ছেলে সবার থেকে ছোট। বয়স মোটে ১৭ বছর ৮ মাস। ফুসলিয়ে তাকে বিয়ে করে ওই তরুণী। গত দু’বছর ধরে লাগাতার মানসিক নির্যাতন করে চলেছে। যার জেরে ছেলের আচরণে অস্বাভাবিক পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন তিনি। নিজের বাড়িতেও আসা যাওয়া ছিল ছেলের। সেইসময় কোনও কারণে দেখা না করলে তাকে আত্মহত্যার হুমকি দিত ওই তরুণী। এমনকি গায়ে কেরোসিন ঢেলে এবং বিষ খেয়ে আত্মহত্যাও করতে গিয়েছিল। এত মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে পারছিল না ছেলে। যে কারণে দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় ফেল করে। মা-বাবাকে মানসিক অস্থিরতার কথা জানিয়েছিল সে। কিন্তু ওই তরুণীর ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। মা হিসাবে ছেলের হয়ে তাই আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে ‘কড়া বার্তা’ দিতেই অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের ম্যাপে রেখেছিল চিনা মিডিয়া?​

আরও পড়ুন: ৪০০ পড়ুয়ার হাজিরা নেই, তাও পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে! উত্তাল হেরম্বচন্দ্র কলেজ​

বিয়ের চারমাসের মধ্যেই ওই তরুণী সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়ে। একটি মেয়ের জন্ম দিয়েছে সে। যার বয়স এখন পাঁচমাস। আদালতের অনুমতিতে এই মুহূর্তে বাইকুলা জেলে মায়ের সঙ্গেই রয়েছে শিশুটি। কিন্তু তাকে নাতনি বলে মানতে নারাজ ছেলেটির মা। তাঁর দাবি, বিয়ের চারমাসের মধ্যেই সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়ে ওই তরুণী।আগেও দু’-দু’বার বিয়ে হয়েছিল তার। পরে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ওই সন্তান অন্য কারও। খামোখা ছেলের ঘাড়ে দায় চাপাচ্ছে।

যদিও এই অভযোগ অস্বীকার করেছে তরুণী। তার দাবি, নিজের ইচ্ছাতেই তার সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিল ছেলেটি। সেইমতো বিয়েও করেছিল তারা। সুখেই জীবন কাটছিল তাদের। কিন্তু ছেলেটির মা তা মেনে নিতে পারেননি, তাই খামোখা হেনস্থা করছেন। ভারতীয় আইন অনুযায়ী ২১ পেরনোর পরই ছেলেদের প্রাপ্তবয়স্ক ধরা হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রে বয়সের সীমা ১৮ বছর। ছেলেটিকে অপ্রাপ্তবয়স্ক মানলেও, বিয়ের সময় তার বয়স মোটেও ১৭ বছর ৮ মাস ছিল না বলে আইনজীবী খালেদ আজমি মারফত জামিনের আর্জি জানিয়েছে ওই তরুণী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement