মুকুল সাংমা। ফাইল চিত্র।
গোয়ার লুইজিনহো ফেলেইরোর পরে এ বার মেঘালয়ের মুকুল সাংমা। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যেতে পারেন আরও এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, মেঘালয়ের এই প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা শীঘ্রই তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন। তাঁর সঙ্গেই জোড়াফুল শিবিরে শামিল হতে পারেন উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্যের অন্তত এক ডজন কংগ্রেস বিধায়ক।
২০১০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন মুকুল। বর্তমানে তিনি ওই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কেন তিনি হঠাৎ কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন? স্থানীয় সূত্রের খবর, মাস দেড়েক আগে তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে পরিচিত লোকসভা সাংসদ ভিনসেন্ট পালাকে মেঘালয় প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি নিয়োগ করা হয়। তার পর থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে ‘যোগাযোগ’ শুরু মুকুলের।
পূর্ব গারো পাহাড়ের প্রভাবশালী নেতা মুকুল দল ছাড়লে মেঘালয়ে কংগ্রেসের বড় ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। বছর তিনেক আগে মেঘালয়ের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডি ডি লাংপাং কংগ্রেস ছেড়ে সে রাজ্যের শাসক দল এনপিপি-তে যোগ দিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার পূর্ণ অ্যাজিটক (পি এ) সাংমা এনসিপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। সে বছর লোকসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে জিতেছিলেন তিনি। প্রয়াত পূর্ণের ছেলে কনরাড বর্তমানে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী এবং এনপিপি দলের প্রধান। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ত্রিপুরার সুবল ভৌমিক, অসমের সুস্মিতা দেব-সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একাধিক কংগ্রেস নেতা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।