Ghaziabad Crime

মায়ের মদতেই কিশোরী কন্যাকে ধর্ষণ! নির্যাতন চলত কিশোর পুত্রের উপরেও! উত্তরপ্রদেশের ঘটনায় চাঞ্চল্য

পুলিশ জানিয়েছে, মা এবং তাঁর বন্ধুর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গত ২০ জানুয়ারি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় ওই কিশোরী। গাজিয়াবাদ থেকে দিল্লি পৌঁছয় সে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৪ ১০:৫৩
Share:

—প্রতীকী ছবি।

১০ বছরের কিশোরী কন্যাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করতেন মায়ের বন্ধু। নির্যাতন চলত ১৩ বছর বয়সি পুত্রের উপরও। সেই কাজে মদত জোগাতেন খোদ মা! শুধু মদতই জোগাতেন না, ছেলে-মেয়ের মুখ বন্ধ রাখতে চলত অকথ্য অত্যাচার। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত মা তাঁর কন্যাকে যৌনপেশার দিকেও ঠেলে দিতে চেয়েছিলেন। আর সে কারণে আগে থেকে মেয়েকে ‘তৈরি’ করছিলেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মা এবং তাঁর বন্ধুর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গত ২০ জানুয়ারি বাড়ি ছেড়ে় পালিয়ে যায় ওই কিশোরী। গাজিয়াবাদ থেকে দিল্লি পৌঁছয় সে। এর পর দিল্লির রাস্তাতেই দিন কাটছিল তার। এর পর দিল্লি পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে শিশু কল্যাণ কমিটির হাতে তুলে দেয়। মেয়েটির মেডিক্যাল পরীক্ষা করে দেখা যায় যে, তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরীর বয়ান অনুযায়ী, তার বাবা চার বছর আগে মারা গিয়েছেন। তখন থেকে সে তার মামাবাড়িতে থাকত। গত বছর, তার মা তাকে এবং তার দাদাকে গাজিয়াবাদে নিয়ে যায়। সেখানেই তার মায়ের এক বন্ধু তাকে ধর্ষণ করতেন বলে ওই কিশোরীর অভিযোগ। কিশোরী জানিয়েছে, তার দাদার উপরও নির্যাতন চালানো হত। নিপীড়ন সহ্য করতে না পেরে, তার দাদা আগেই ঘর ছেড়ে পালিয়েছে বলেও জানিয়েছে কিশোরী।

Advertisement

কিশোরী পুলিশকে আরও জানিয়েছে, বাবার মৃত্যুর পর মা যৌনপেশায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। আর তাই তাকেও ওই পেশায় ঠেলে দিতে চেয়েছিলেন। ওই কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে তার মা এবং বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে গাজিয়াবাদের লোনি বর্ডার থানার এসিপি ভাস্কর শর্মা জানিয়েছেন। ভাস্কর বলেন, ‘‘কিশোরী তার ধর্ষককে শনাক্ত করেছে। অভিযুক্ত দিল্লির বাসিন্দা। ওই কিশোরী ২০ জানুয়ারি নিখোঁজ হওয়ার পরেও তার বাড়ির লোক পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেননি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement