মোস্ট ওয়ান্টেড গ্যাংস্টার ভিকি গোন্ডার।
টানা এক ঘণ্টা ধরে গুলির লড়াইয়ে পঞ্জাবের মোস্ট ওয়ান্টেড গ্যাংস্টার হরজিন্দর সিংহ ওরফে ভিকি গোন্ডারকে খতম করল পঞ্জাব পুলিশের অপরাধ দমন শাখার অফিসাররা।
সবে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছিল। পঞ্জাব পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে পঞ্জাব-রাজস্থান সীমানার কাছে একটি গ্রামে সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে লুকিয়ে রয়েছে ভিকি।
আর দেরি করেনি রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখার অফিসাররা। শুক্রবার সন্ধেতেই একটি বিশেষ দল ফাজিলকা জেলার হিন্দুমল কোট গ্রামে সন্তর্পণে হাজির হয়। পুলিশের কাছে এই খবরও ছিল যে, ভিকি তাঁর সঙ্গী প্রেমা লহরিয়াকে নিয়ে আর এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী লক্ষ্মীন্দর সিংহ ওরফে লখার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
আরও পড়ুন: সেতু ভেঙে নদীতে বাস, মহারাষ্ট্রে মৃত অন্তত ১৩
ডিজি (ইন্টেলিজেন্স) দিনকর গুপ্ত জানান, ভিকির লুকিয়ে থাকার খবরটা সুনিশ্চিত হওয়ার পরই অভিযান শুরু করেন তাঁরা। পুলিশ লখার বাড়ি চার দিক থেকে ঘিরে ফেলে। পুলিশের দাবি, তাদের উপস্থিতি টের পেয়েই বাড়ির ভিতর থেকে গুলি ছুড়তে শুরু করে ভিকি, প্রেমা ও লখা।
টানা এক ঘণ্টা ধরে গুলির লড়াই চলে। পাঁচিল টপকে পালানোর সময় পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় ভিকির ঘনিষ্ঠ প্রেমার। পুলিশ জানিয়েছে, তার পরেও গুলি চালানো থামায়নি ভিকি ও লখা। পুলিশও পাল্টা জবাব দেয়। দু’পক্ষের গুলি বিনিময়ে ভিকি নিহত হয়। তবে বেঁচে যায় লখা। পালাতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সে। দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে প্রচুর কার্তুজ ও পিস্তল উদ্ধার করে পুলিশ। দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে দুই সাব-ইনস্পেক্টর আহত হন।
আরও পড়ুন: ক্ষোভ কমছে না কংগ্রেসে, ছয়ের ক্ষত ঢাকার চেষ্টা করমর্দনে
২০১৬-র নভেম্বরে রাজ্যের অন্যতম ‘নিরাপদ’ নাভা জেল থেকে পালিয়েছিল ভিকি। তার পর বেশ কয়েকটি গ্যাংওয়ার, খুন, ডাকাতি, অপহরণ করে পুলিশের ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছিল। ভিকি ও তার সঙ্গী প্রেমাকে মাথার দাম যথাক্রমে ১০ ও ৫ লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়। পঞ্জাব পুলিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল তাকে ধরার জন্য। দীর্ঘ দিন ধরে তার তল্লাশি চালিয়ে অবশেষে মিশন সফল করে রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখা।
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পুলিশের এই সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন। টুইট করে বলেন, “ডিজিপি সুরেশ অরোরা, ডিজি (ইন্টেলিজেন্স) দিনকর গুপ্ত, এআইজি গুরমিত সিংহ এবং ইনস্পেক্টর বিক্রম ব্রার-সহ গোটা দলের কাজে দারুন খুশি। গর্বিতও বটে।”