ফের প্রধানমন্ত্রী হলেন নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় বারের জন্য শপথ নিলেন তিনি। এ দিন তাঁর সঙ্গে রাইসিনা হিলে মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন আরও ৪০ জন নির্বাচিত সাংসদ। দ্বিতীয় দফায় মোদীর মন্ত্রিসভায় কারা জায়গা পেলেন, দেখে নিন এক নজরে।
নরেন্দ্র মোদী: এ দিন প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদীকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। গতবারের চেয়েও বেশি ভোট পেয়ে এ বছর বারাণসী থেকে জয়ী হন মোদী।
রাজনাথ সিংহ: প্রথম দফায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। উত্তরপ্রদেশের লখনউ থেকে নির্বাচিত সাংসদ তিনি। এ বার কোন দফতর হাতে পাবেন, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। এ দিন নরেন্দ্র মোদীর পরই মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন তিনি।
অমিত শাহ: এতদিন বিজেপি সভাপতি ছিলেন। এ বার মোদীর মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন অমিত শাহ। লালকৃষ্ণ আডবাণীর নির্বাচনী কেন্দ্র গাঁধীনগর থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তা নিয়ে কম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি তাঁকে। তবে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সমালোচকদের চুপ করিয়ে দিয়েছেন শাহ।
নিতিন গডকড়ী: সড়ক পরিবহণ, হাইওয়ে, জাহাজ, জলসম্পদ, নদী উন্নয়ন ও গঙ্গা সংস্কারের মতো দফতর সামলেছেন। বাজপেয়ীর আমলেও মন্ত্রী ছিলেন নাগপুরের সাংসদ গডকড়ী। এবারপ্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে তিনিও আছেন বলে জল্পনা ছিল। তবে শুরু থেকেই তা খারিজ করে এসেছেন তিনি। এ দিন মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন তিনিও।
স্মৃতি ইরানি: গাঁধী পরিবারের গড় অমেঠী ছিনিয়ে এনেছেন। তাই মন্ত্রিত্ব একরকম পাকাই ছিল স্মৃতি ইরানির। এর আগে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন, তথ্যপ্রযুক্তি এবং বস্ত্রমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। তাঁর পদোন্নতি হতে পারে বলে জল্পনা।
নির্মলা সীতারামন: প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসাবে নির্মলা সীতারামনের ভূমিকায় খুশি বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁরও পদোন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের গুরুদায়িত্ব দেওয়া হতে পারে তাঁকে।
পীযূষ গয়াল: চিকিৎসার প্রয়োজনে অরুণ জেটলি বিদেশে থাকাকালীন সংসদে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করেন পীযূষ গয়াল। রেল এবং কয়লা মন্ত্রকের গুরুদায়িত্ব সামলেছেন তিনি। তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেতে পারেন বলে জল্পনা।
ধর্মেন্দ্র প্রধান: মধ্যপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন গতবছর। মোদী সরকারের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ছিলেন।
রবিশঙ্কর প্রসাদ: বিদ্রোহী শত্রুঘ্ন সিনহার বিরুদ্ধে পটনা সাহিব থেকে জয়ী হয়েছেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। গত বার আইনমন্ত্রক এবং তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের দায়িত্ব সামলেছেন।
এস জয়শঙ্কর: ইউপিএ আমলে চিন ও আমেরিকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। মোদী সরকারের আমলে বিদেশ সচিবের ভূমিকাও পালন করেছেন। এ বার নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন।
প্রকাশ জাভড়েকর: ২০১৪-য় মধ্যপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০১৬-র ৫ জুলাই কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী নিযুক্ত হন। এর আগে সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং স্বাধীন ভাবে তথ্য-সম্প্রচার এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগের দায়িত্ব সামলেছেন।
মুখতার আব্বাস নকভি: ২০১৭ সালে সংখ্যালঘু দফতরের মন্ত্রী নিযুক্ত হন নকভি। তার আগে সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
সদানন্দ গৌড়া: পরিসংখ্যান মন্ত্রী ছিলেন সদানন্দ গৌড়া। কর্নাটকের বেঙ্গালুরুউত্তর কেন্দ্রের এই সাংসদ এবারও মোদীর মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন।
গিরিরাজ সিংহ: কানহাইয়া কুমারকে হারিয়ে বেগুসরাই থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন গিরিরাজ সিংহ। এর আগে, স্বাধীন ভাবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
রামবিলাস পাসোয়ান: এনডিএ-র শরিক হিসাবে গতবারও মন্ত্রিত্ব পেয়েছিলেন রামবিলাস পাসোয়ান। ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রক এবং গণবণ্টন বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। হাজিপুর থেকে জয়ী হয়ে একবার ফের মোদীর মন্ত্রী হলেন তিনি।
নরেন্দ্র তোমর: মোদীর প্রথম দফায় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র তোমর। সে বার গ্বালিয়র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। এ বছর মোরেনা থেকে বিজয়ী হয়েছেন।
হরসিমরত কউর বাদল: এনডিএ-র আর এক শরিক শিরোমণি অকালি দল। তাদের নেত্রী হরসিমরত কউর বাদল গত বার খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী ছিলেন। এ দিন ফের শপথ নেন তিনি।
থবরচাঁদ গহলৌত: রাজ্যসভায় মধ্যপ্রদেশ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন থবরচাঁদ গহলৌত। এতদিন সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন দফতরের দায়িত্বে ছিলেন।
হর্ষবর্ধন: দিল্লির চাঁদনি চক থেকে গত বার লোকসভার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।
প্রহ্লাদ জোশী: গতবারকর্নাটকের ধারওয়ার থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। কর্নাটক বিজেপির সভাপতির পদও সামলেছেন।
মহেন্দ্রনাথ পান্ডে: ২০১৬ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এ বার মোদীর মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন।
অর্জুন মুন্ডা: ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে জামশেদপুর থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি।
রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক: উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তিনি। হরিদ্বারের সাংসদ।
অরবিন্দ সবন্ত: শিবসেনার অরবিন্দ সবন্ত মোদীর মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন। দক্ষিণ মুম্বই থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।