ভারুচের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার।
সাড়ে তিন বছর আগে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার জন্য তাঁর তাস ছিল ‘গুজরাত মডেল’।
আর টানা ২২ বছর বিজেপি-র হাতে থাকা নিজের রাজ্য গুজরাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রচারে ‘মডেল’ হিসেবে তুলে ধরলেন উত্তরপ্রদেশকে। উত্তরপ্রদেশে সদ্য শেষ হওয়া পুর ও নগর পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল দেখিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করলেন উত্তরপ্রদেশই ভাইব্র্যান্ট আপাতত শাসক দল বিজেপি-র কাছে! যেখানে একেবারেই ধরাশায়ী হয়েছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- বিনা যুদ্ধেই ১৬০০ সেনা প্রাণ হারান এ দেশে
আরও পড়ুন- ইভিএমে কারচুপি করে ভোটে জিতেছে বিজেপি!
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পয়লা দফার ভোটের ৬ দিন আগে দক্ষিণ গুজরাতের ভারুচ ও সৌরাষ্ট্রে দু’দিনের সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। রবিবার ভারুচের এক জনসভায় মোদী বলেছেন, ‘‘কী দেখলাম আমরা উত্তরপ্রদেশে পুর ও নগর পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলে? কংগ্রেস তো মুছে গিয়েছে সেখানে।’’
এর পরেই আসে মোদীর খোঁচা, ‘‘কংগ্রেসকে হাড়ে হাড়ে চেনে উত্তরপ্রদেশ। গুজরাতও চেনে!’’ দু’দিনে দক্ষিণ গুজরাত ও সৌরাষ্ট্রে ৭টি জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। গুজরাতে এত দিন বিজেপি’র ভোট ব্যাঙ্ক ছিলেন যে পটেল সম্প্রদায় বা পাতিদাররা, তাঁদের একটি বড় অংশের মানুষ থাকেন সৌরাষ্ট্রে। হার্দিক পটেলের সৌজন্যে যে পাতিদার ভোট নিয়ে এ বার ভাবতেই হচ্ছে বিজেপিকে। সৌরাষ্ট্রের রাজকোট ও সুরেন্দ্রনগরে দু’টি জনসভা করবেন মোদী। ভালসারের ধরমপুরের সভা দিয়ে শুরু করে আগামীকাল সৌরাষ্ট্রের ভাবনগর, জুনাগড় ও জামনগরে মোট ৪টি জনসভা করেবেন প্রধানমন্ত্রী।
আগামী শনিবার পয়লা দফায় ভোট হবে সৌরাষ্ট্র ও দক্ষিণ গুজরাতের ৮৯টি জেলায়।
প্রতিপক্ষ যেহেতু কংগ্রেস, তাই ভোটে জিততে মুসলিমদের মন জেতাটাও যে খুব জরুরি, ভারুচের জনসভায় সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ দিন ভারুচে মোদী বলেন, ‘‘গুজরাতের মুসলিম জনসংখ্যার বেশির ভাগটাই থাকেন ভারুচ আর কচ্ছ জেলায়। রাজ্যের কোন কোন এলাকায় উন্নয়ন হয়েচে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে, যদি সেই তালিকায় চোখ বুলিয়ে নেন, তা হলে প্রথমেই চোখে পড়বে ওই দু’টি জেলা ভারুচ আর কচ্ছ।’’
২০১২-র বিধানসভা ভোটে দক্ষিণ গুজরাতে ৩৫টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ২৮টি। মূলত তার ট্র্যাডিশনাল ভোট ব্যাঙ্ক পাতিদার বা পটেল সম্প্রদায়ের জন্য। কিন্তু এ বার পটেলরা একটু যেন চটেই রয়েছেন বিজেপি-র ওপর। তার প্রথম কারণ যদি হন হার্দিক পটেল, তা হলে দ্বিতীয় কারণটা অবশ্যই জিএসটির হার। যার জন্য দিনকয়েক আগে তড়িঘড়ি জিএসটির হার সংশোধনও করা হয়েছে বেশ কয়েকটি পণ্যের।