চার দিকে সমালোচনা ও চাপের মুখে গবাদি পশুর তালিকা থেকে ‘মোষ’কে বাদ দেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্র।
সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিভিন্ন জায়গায় ‘বিফ-ফেস্ট’ শুরু হয়েছে। মাংস ব্যবসা ভয়ঙ্কর লোকসানের মুখে পড়ার আশঙ্কায় কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এই চাপের মুখে পড়েই গবাদি পশুর তালিকা থেকে ‘মোষ’কে বাইরে রাখার কথা ভাবছে কেন্দ্র। কিন্তু গরু কিংবা অন্য গবাদি পশু জবাই বন্ধ করার সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হঠছে না সরকার। মোষকে তালিকার বাইরে রাখার পিছনে ব্যবসায়িক কারণকেই বড় করে দেখাচ্ছে কেন্দ্র। এ দেশে মাংস ব্যবসার সিংহভাগই হল মোষের। সরকারি পরোয়ানায় রফতানি মার খাবে বলেই আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
প্রশ্ন উঠেছে, রমজানের ঠিক মুখে গবাদি পশুর জবাই বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে কী বিজেপি রাজনৈতিক বার্তাই দিতে চাইল না? অমিত শাহ অবশ্য দলের কিছু নেতাকে জানিয়েছেন, রমজানের আগে এমন সিদ্ধান্ত নিছক কাকতলীয়। কোনও ধর্ম বা সম্প্রদায়ের কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বরং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে পদক্ষেপ করা হয়েছে।
তবে বিজেপি নেতারা ঘরোয়া ভাবে স্বীকার করছেন, সঙ্ঘের হিন্দুত্বের ভাবনা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ থেকে অমিত শাহের টিমের সাধারণ সম্পাদক হওয়া পি মুরলীধর রাও তো বলেই দিয়েছেন, ৫০ বছর আগে গো-হত্যা বিরোধী আন্দোলনের প্রতি যথার্থ ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি’ এই নতুন নিয়ম।