সরকারের বর্ষপূর্তির মুখে সব মন্ত্রীকে গোটা দেশে চষে বেড়ানোর নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রের প্রকল্পগুলির সাফল্য তুলে ধরা ও সরকারের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারের জবাব দিতেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত।
প্রধানমন্ত্রী গোড়া থেকেই চাইছেন, সরকারের কাজকে দিল্লির চৌহদ্দির বাইরে বের করে এনে রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে দিতে। সে কারণে এ সপ্তাহের শেষে কলকাতায় গিয়ে তিনি তিনটি বিমা ও পেনশন যোজনা চালু করবেন। প্রকল্পগুলি অর্থ মন্ত্রকের, তাই অরুণ জেটলিরও মোদীর সঙ্গে কলকাতায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী স্থির করেছেন, তাঁর সঙ্গে যাওয়ার পরিবর্তে মন্ত্রীরা যদি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েন, তা হলে গোটা দেশেই তার প্রভাব পড়বে। সেই সূত্র ধরে জেটলি একই দিনে ওই প্রকল্পগুলি চালু করতে উপস্থিত থাকবেন মুম্বইয়ে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ থাকবেন লখনউয়ে, সুষমা স্বরাজ ভোপালে, বেঙ্কাইয়া নায়ডু বারাণসী, নিতিন গডকড়ী ভাগলপুর, রাজীব প্রতাপ রুডি দিল্লি আর নাজমা হেপাতুল্লা শ্রীনগরে থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী জীবনজ্যোতি বিমা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা ও অটল বিমা যোজনা কলকাতা সহ দেশের ১১৬টি জায়গা থেকে সে দিন চালু করা হবে।
২৬ মে মোদী সরকারের এক বছর পূর্ণ হবে। মে মাসের ১২ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত মন্ত্রীরা বিভিন্ন জনসভা ও সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের কর্তাদের মোদী বলেছেন, সে দিন তিনি নিজে দিল্লির পরিবর্তে দেশের কোনও প্রত্যন্ত এলাকায় থাকতে চান।
প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের এক কর্তা বলেন, ‘‘গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী সরকারের শীর্ষ মন্ত্রী ও আমলাদের কাছে প্রস্তাব চেয়ে পাঠিয়েছেন, কী ভাবে বর্ষপূর্তি পালন করা যায়।’’
ইতিমধ্যে কিছু প্রস্তাবও এসেছে। রেডিওতে ‘মন কি বাত’, দূরদর্শনে সাক্ষাৎকার, সাংবাদিক সম্মেলন, সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপচারিতার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সরকারের সাফল্য তুলে ধরতে পারেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক বিভিন্ন দফতরের থেকে এক বছরের সাফল্যের খতিয়ান চেয়ে পাঠিয়েছে। ই-বুক আকারে সেগুলি প্রকাশিত হবে। বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষাতেও সেগুলি অনুবাদ করা হবে।