নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলে অসহিষ্ণুতা বেড়েছে, বেড়েছে অস্থিরতা— ওই অভিযোগ তুলে বিজেপিকে ঠেকানোর আহ্বান জানালেন এআইসিসি নেতা গুলাম নবি আজাদ।
বিভিন্ন ঘটনার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘‘অসমেও অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চলছে। সরকার গড়তে পারলে ওঁরা অসহিষ্ণু হয়ে উঠবে। এটাই বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য।’’ তাই কোনওমতেই বিজেপির সরকার যেন গঠিত না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক করেন তিনি। শিলচরে সাংবাদিক বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আজাদ বলেন, ‘‘অসমে এক সময় হিংসা চরম রূপ নিয়েছিল। তরুণ গগৈয়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পর ধীরে ধীরে অশান্তি কমে। শান্তি ছাড়া বিকাশ হয় না, এ কথা কংগ্রেসের চেয়ে ভাল আর কেউ জানে না। এর পরই বিকাশের ধারায় এগিয়ে চলেছে অসম।’’ আজাদের আশঙ্কা, বিজেপি ক্ষমতায় এলে পুরনো দিন ফিরে আসবে। শান্তিতে থাকা দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। মোদী সরকারের মন্ত্রীরা এখানে এসে ‘কুম্ভীরাশ্রু’ বিসর্জন করছেন, এই মন্তব্য করেন আজাদ। তাঁর বক্তব্য, উত্তর-পূর্বের প্রতি তাঁদের যে কী দরদ, দু’টি ঘটনাতেই স্পষ্ট। প্রথমত, অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কেন্দ্রের পূর্বতন কংগ্রেস সরকার উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে অতিরিক্ত তহবিল দিত। মোদী সরকার তা বাতিল করে। পিছিয়ে থাকা এলাকা উন্নয়ন তহবিল গড়েও বরাকের মতো পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের জন্য অতিরিক্ত প্রকল্প মঞ্জুর করা হচ্ছিল। সেটিও বাতিল করে দেয় মোদী সরকার।
সাংসদ সুস্মিতা দেব এ দিনও মুখ্যমন্ত্রীর হাজার কোটির প্যাকেজ নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দেন। সুস্মিতাদেবী বলেন, ‘‘হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ হল গুচ্ছ প্রকল্প। সে সবের কাজ চলছে।’’ শুধু যত টাকার বিল দেওয়া হয়েছে, এর অঙ্ক হিসেব করে ৪০০ কোটি টাকা মিলেছে বলাটা বোকামি বলেই মনে করেন তিনি।