—প্রতীকী ছবি।
ধারালো অস্ত্র আর লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের উপরে চড়াও হয়ে কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল জনতা। শুক্রবার বিকেলে গুজরাতের সুরেন্দ্রনগর জেলার ঝিওয়াড়া গ্রামের ওই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন এক সাব ইনস্পেক্টর। অল্প-বিস্তর চোট পেয়েছেন দুই কনস্টেবল।
পড়শি-জেলা পাটনে সম্প্রতি প্রায় পাঁচশো বোতল মদ উদ্ধার করেছিলেন রাজ্য প্রশাসনের পর্যবেক্ষকেরা। তার পরে বেআইনি কারবারে অভিযুক্ত ঝিঞ্ঝওয়াড়ার বাসিন্দা জলসিংহের খোঁজ চলছিল। আগেও দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাধানো, লুটপাট, ডাকাতি ও নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে সাতটি মামলা রুজু রয়েছে। কিছুতেই জলসিংহের নাগাল না পেয়ে ঝিঞ্ঝওয়াড়া থানাকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করে রেখেছিল পাটন পুলিশ।
সম্প্রতি গোপন সূত্রে খবর মেলে, জলসিংহ বাড়িতে ফিরেছে। জাইনাবাদ গ্রামের কাছে তাকে ক্রিকেট খেলতে দেখা গিয়েছে। ঝিঞ্ঝওয়াড়া থানার আধিকারিক কে সি ডাঙ্গর সাদা পোশাকে দুই কনস্টেবলকে নিয়ে সাধারণ একটি গাড়িতে চড়ে সেখানে যান। দেখা যায়, ক্রিকেট খেলা চলছে। জলসিংহ একটি গাড়ির ভিতরে বসে। তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় ঝিঞ্ঝওয়াড়া গ্রামের সামনে তিরিশ-চল্লিশ জনের একটি দল চড়াও হয় পুলিশের উপরে। আর সেই সুযোগে পালিয়ে যায় ধৃত। পুলিশের সন্দেহ, সেই সময় ক্রিকেট খেলছিল যারা তাদের যোগ রয়েছে হামলার সঙ্গে।
আধিকারিকের আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে দাসাদা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় আক্রান্ত সাব ইনস্পেক্টরকে ভর্তি করানো হয়েছে আমদাবাদের বেসরকারি হাসপাতালে। তাঁর করোটিতে চিড় ধরেছে। জলসিংহকে পাকড়াও এবং পুলিশের উপরে হামলাকারীদের গ্রেফতার করার জন্য দল গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ২৬ জনকে চিহ্নিত করে এফআইআর-এ নাম উল্লেখ করা হয়েছে।