হড়পা বানে নিখোঁজ শ্রমিকের দেহ উদ্ধার

কাছাড়ে হড়পা বানে ভেসে যাওয়া শ্রমিকরা ফিরে আসবেন, পরিবারের সদস্যরাও এখন এমন আশা করেন না। তাঁরা অপেক্ষায় রয়েছেন মৃতদেহ উদ্ধারের।৮ শ্রমিকের মধ্যে এক জনের মৃতদেহ আজ উদ্ধার করা হয়েছে, একেই সাফল্য বলে মনে করছেন অনেকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলচর শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:০০
Share:

কাছাড়ে হড়পা বানে ভেসে যাওয়া শ্রমিকরা ফিরে আসবেন, পরিবারের সদস্যরাও এখন এমন আশা করেন না। তাঁরা অপেক্ষায় রয়েছেন মৃতদেহ উদ্ধারের।

Advertisement

৮ শ্রমিকের মধ্যে এক জনের মৃতদেহ আজ উদ্ধার করা হয়েছে, একেই সাফল্য বলে মনে করছেন অনেকে। তার মধ্যে যেমন উদ্ধারকারীরা রয়েছেন, আছে জেলাপ্রশাসন, এমনকী নিখোঁজ শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরাও। জেলাশাসক জানিয়ে দিয়েছেন, মৃতদেহ না পাওয়া গেলে তাঁর পক্ষে কোনও ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করা মুশকিল। মৃতদেহ পাওয়া গেলে প্রথমেই যেমন জীবনজ্যোতি প্রকল্পে ৫০ হাজার টাকা পাওয়া যেতে পারে, মিলতে পারে অন্যান্য প্রকল্পের অর্থসাহায্যও।

রবিবার যারা ভেসে যান তাঁদের মধ্যে মনা সাঁওতালের মৃতদেহ আজ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ লক্ষ্মী রিকিয়াসন, স্বপ্না ঘাটোয়ার, তৃষি ঘাটোয়ার, বুটি ঘাটোয়ার, কুটি তেলি, কাশী তেলি ও উত্তম ঘাটোয়ার।

Advertisement

রাজনৈতিক দলগুলিও ওই সব পরিবারগুলির জন্য সাহায্যের দাবিতে মুখর হয়েছে। গত কাল জেলা কংগ্রেস সভাপতি কর্ণেন্দু ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল জেলাশাসক এস বিশ্বনাথনের সঙ্গে সাক্ষাত করে। আজ তাঁরা ময়নাগড়ে মৃতদের বাড়িঘরে গিয়ে পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন।

বিজেপি নেতৃবৃন্দ এ দিন জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে ওই পরিবারগুলির ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে অনুরোধ জানায়। জেলাশাসক মৃতদেহ না পেলে যে কিছু করা সম্ভব নয়, তা জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘‘আমিও চাইছি, দ্রুত মৃতদেহ উদ্ধার করে পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতে। সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’ বিজেপি নেতারা দাবি করেন, মৃতদেহ না পাওয়া পর্যন্ত তিনি যেন পাথরখাদানের সংশ্লিষ্ট মহালদারকে ডেকে ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে নির্দেশ দেন।

সে দিন জাটিঙ্গা নদীতে জল বাড়ার আগে ময়নাগড়ের শ্রমিকরা নদী থেকে পাথর তুলছিল ট্রাকে। জলের গর্জন শুনে দুই শ্রমিককে নিয়ে ট্রাকচালক ছুটে আসেন। পাথরের উপর দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ তাঁরা তাঁদের বাঁচানোর আর্তি জানিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্যোগ নিবারণ বাহিনীর জওয়ানরা সেখানে পৌঁছনোর আগেই পাথরের সঙ্গেই তাঁরা ভেসে যান।

এ দিন বিজেপি প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজদীপ রায়, মুখপাত্র অবধেশ সিংহ, ভারপ্রাপ্ত জেলা সভাপতি বিমলেন্দু রায়, শশাঙ্ক ধর ও নিত্যভূষণ দে। তাঁরা জাটিঙ্গার পাথরমহাল নিয়েও নালিশ জানান। মহালদার সমস্ত সরকারি নিয়ম মেনে শ্রমিকদের কাজে লাগায় কি না, তাও খতিয়ে দেখতে তাঁরা জেলাশাসকের কাছে অনুরোধ জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement